বসতবাড়ি উদ্ধারে এবং এ সংক্রান্ত ‘সাজানো’ মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল রউফ লিটন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি। গত ৩ মার্চ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে লিখিত আবেদনটি দাখিল করেন লিটন। টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার গয়হাটা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। মালয়েশিয়ায় ক্রাউন উপাধি পাওয়া লিটন দীর্ঘদিন ধরে কুয়ালালামপুরের পুত্রা হাইটে সপরিবারে থাকছেন।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদনে বলা হয়, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিদেশের মাটিতে রিঙ্গিত উপার্জন করে বাংলাদেশে পাঠান লিটন। নিজ জন্মভূমিতে তিনি প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন নয়নাভিরাম একটি দ্বিতল বাড়ি। ব্যবসার জন্য পঁয়ত্রিশ লাখ টাকায় গড়ে তোলেন একটি রড-সিমেন্টের দোকানও। পাশাপাশি বিদেশ থেকে আপন ভাই আকবর আলী ও ভাতিজা জয়নাল আবেদীন বিদ্যুতের জন্য টাকা পাঠিয়ে তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণও করছিলেন লিটন।
লিটন তার আবেদনে অভিযোগ করেন, আকবর আলী ও জয়নাল আবেদীন বিদ্যুৎ বর্তমানে তার সেই বাড়িটি দখল করে বসবাস করছেন। ‘সন্ত্রাসী’ জয়নাল তার চাচার রুম থেকে চেক বই নিয়ে ত্রিশ লাখ বিশ হাজার টাকার একটি চেক প্রতারণার মামলাও দায়ের করেন (মামলা নং-১১১)।
লিটনের দাবি, জয়নাল প্রতিনিয়ত তার চাচাকে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। লিটন টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে একটি বড় অটোরাইস মিল এবং একটি পোশাক কারখানা করার জন্য পরিকল্পনা করলেও ভাই-ভাতিজার ভয়ে এবং তাদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
আব্দুল রউফ লিটন আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের আয়ের সমস্ত অর্থ বাংলাদেশে রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে আসছি। রেমিট্যান্সযোদ্ধারা দেশে অনেক কিছুই করতে চায় এবং বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু এ ধরনের আত্মীয়-স্বজনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশের অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ