Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
korea-bangladeshi-corona
ফাইল ছবি

করোনার তাণ্ডবে বিশ্ববাসী আজ জীবন-মরণের সঙ্গে লড়াই করছে। গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবী স্থবির। জীবনের টানে গৃহবন্দি মানুষের অর্থনৈতিক কার্যক্রমও আজ শূন্যের কোঠায়।

করোনার প্রভাবে আমদানি-রফতানি হ্রাস পেয়েছে, ফলে বিশ্বের বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের হিসেব গুনছে, অনেকে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে শ্রমিক ছাঁটাই করে টিকে থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই ধাক্কা সইতে হচ্ছে অনুন্নত, উন্নত সকল দেশকে।

chardike-ad

বিশ্ব অর্থনীতি আজ বৈশ্বিক মন্দার দ্বারপ্রান্তে। এর প্রভাব দারুণভাবে হিট করেছে প্রযুক্তির মুন্সিয়ানার দেশ কোরিয়াকে, করোনার ফলে কোরিয়ার অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব চলছে, তা অতীতের যে কোনো মন্দার থেকে কঠিন বলছে খোদ কোরিয়ানরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোরিয়ায় যখন করোনার প্রভাব বাড়তে থাকে তখন নানা সমস্যার কারণে দেশে যান, অনেকেই ছুটিতে গিয়ে আটকে পড়েন।

এদের সংখ্যা প্রায় দুইহাজার। দেশে আটকেপড়াদের ফেরাতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ও বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালান, এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মে মাসের ২০২০ ত থেকে এই পর্যন্ত ৫৬৬ জন ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় ফিরে আসেন।

সিউল দূতাবাসের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদিশিক মন্ত্রণালয়, বোয়েসেল ও সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় ইপিএস কর্মীরা কোরিয়ায় আসতে পেরেছে।

বাংলাদেশে আটকেপড়া কোরিয়ায় ফিরে আসা এ রকম কয়েকজন ইপিএস কর্মী জানান, আটকে পড়ার পরে কোরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে আমরা যখনই যোগাযোগ করেছি, তিনি তখনই আমাদেরকে ফেরাতে চেষ্টা করেছেন।

প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কোরিয়ায় ফেরা কয়েকজন ইপিএস কর্মী জানান, আমরা বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর ও দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞ। করোনাকালে কোরিয়ায় ৫৬৬ জন ইপিএস কর্মী ফিরেছেন নিসন্দেহে এটি বাংলাদেশের জন্য সুখবর।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবস্থানরত রি-এন্ট্রির সুযোগ প্রাপ্ত কমিটেড কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

ওমর ফারুক হিমেল, কোরিয়া থেকে