রমিজ রাজা। খেলোয়াড়, ধারাভাষ্যকার, সমালোচক, বিশ্লেষক। সবকিছুতেই তার মুন্সিয়ানা। সদ্যই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে ২২ গজের ক্রিকেটকে জমিয়ে তুলতে আবারও মাইক হাতে নিয়েছেন, ফিরেছেন কমেন্ট্রি প্যানেলে। পাকিস্তানে এই মুহূর্তে চলছে পাকিস্তান সুপার লীগ, পিএসএল। বিশ্বের সব টি টোয়েন্টির ফেরিওয়ালারা তাই ঝুঁকে পড়েছে দেশটির এই ফ্রাঞ্চাইজি লীগে। সাউথ আফ্রিকার ডুসেনের মতো অনেক খেলোয়াড় ইঞ্জুরির দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ, বিপিএল খেলতে না আসলেও, খেলছেন পিএসএল। তবে অবাক করা বিষয়, সেই পিএসএল ছেড়ে কমেন্ট্রি করতে বিপিএলকে বেছে নিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম ত্রাণকর্তা রমিজ রাজা।
অন্য কোনো কারণে নয়, দর্শকদের উন্মাদনার কারণেই পিএসএল শুরু হলেও বিপিএলকে বেছে নিয়েছেন তিনি। রমিজ রাজা বলেন, ‘দর্শকদের কারণে বাংলাদেশ অন্য দেশগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রম এবং এটাই কারণ আমার এখানে আসার। বিশ্বে খুব কম দেশই আছে যেখানে এমন দর্শক হয়। পিচও অন্যান্যবারের তুলনায় বেশ ভালো।’
তিনি জানান, ‘নিজের ইচ্ছে থেকেই বিপিএলে এসেছেন কমেন্ট্রি করতে। পিএসএল গভর্নিং বডি বা বোর্ডের সাথেও নেই ঝামেলা। কমেন্ট্রি তার পেশা, কমেন্ট্রি তার নেশা। ভালো লাগার জায়গা থেকেই পিএসএল ছেড়ে বিপিএলে কমেন্ট্রি করা। আসতে চান আবারও।’
পিএসএল থেকে প্রতি বছর খেলোয়াড় উঠে আসে, খেলে জাতীয় দলে। কিন্ত বিপিএল কেন এত পিছিয়ে। বিপিএল কোনো এত বড় একটা টুর্নামেন্ট শেষে একজন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় দিতে পারে না। রমিজ রাজার চোখে ধরা পড়েছে সে কারণটা।
কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার বিপিএলকে ঘিরে দিয়েছেন পরামর্শও। তরুণ ক্রিকেটার তুলে আনতে ইমার্জিং ক্রিকেটার কোটা চালু করার কথা বলেন তিনি। পিএসএলে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিটা দলে খেলাতে হয় ইমার্জিং দলের খেলোয়াড়দের। খেলানো হয় অনুর্ধ্ব-১৯ এর যুবাদেরও। পরীক্ষামূলকভাবে নেটে সুযোগ দেয়া হয়। কিন্ত বিপিএলে নেই এমন কোনো নিয়ম। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যারা জাতীয় দলে খেলে, তারাই বিপিএলে ভাগ হয়ে খেলে রকমারি জার্সিতে। ফলাফল, খেলোয়াড়দের মাঝে নেই কোনো প্রতিযোগিতা।
এতে বিসিবি হতাশ হলেও আশার আলো দেখেন রমিজ রাজা। তার মতে, এখানকার মানুষ ক্রিকেটপ্রেমী। চাইলেই সম্ভব আরও কিছু সাকিব, তামিম এদের মধ্যে থেকেই বের করে আনা।
এবারের বিপিএলে শেষ পর্যন্ত থাকবেন রমিজ রাজা। ২ মার্চ নিজ দেশে ফিরে যাবেন কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার ।