৭ জুন ২০১৪:
‘মাথাপিছু জিডিপি’ যে কোনো দেশের অর্থনীতির অবস্থা প্রকাশের অন্যতম সূচক। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিক জীবনযাত্রার মান ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ সহজেই উঠে আসে। অর্থনীতি ও অন্যান্য অবস্থার পরিবর্তনের দোলাচলে প্রায়ই পরিবর্তন ঘটে মাথাপিছু জিডিপির। সম্প্রতি মাথাপিছু জিডিপির হিসাবে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তালিকার শীর্ষ পাঁচ দেশকে নিয়ে আজকের আয়োজন—
কাতার
মাথাপিছু জিডিপি: ৯৮ হাজার ৮১৪ ডলার
কাতারের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো তেল ও গ্যাসের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ। বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেকারত্বও কম দেশটিতে। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছে কাতারে। ফলে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা দেশটির মূল নাগরিকদের চেয়েও বেশি। বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ উপলক্ষে ব্যাপক আকারে অবকাঠামোগত উন্নয়নও হচ্ছে সেখানে।
লুক্সেমবার্গ
মাথাপিছু জিডিপি: ৭৮ হাজার ৬৭০ ডলার
অপেক্ষাকৃত ছোট দেশ হলেও স্থিতিশীল ও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ লুক্সেমবার্গ। ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও জার্মানির সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক দেশটির বেকারত্বের হার ও মূল্যস্ফীতি কমাতে বেশ সহায়তা করছে। লুক্সেমবার্গের অর্থনীতি অনেকাংশেই নির্ভর করে বিদেশী শ্রমিকদের ওপর। যারা দেশটির শিল্পাঞ্চলগুলোয় কাজ করে।
সিঙ্গাপুর
মাথাপিছু জিডিপি: ৬৪ হাজার ৫৮৪ ডলার
বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধিশালী দেশ সিঙ্গাপুর। পর্যটন, মুক্ত বাণিজ্য, দুর্নীতিমুক্ত ব্যবসায়িক পরিবেশ ও পণ্যদ্রব্যের স্থিতিশীল দাম দেশটির অর্থনীতির জন্য বেশ সহায়ক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সিঙ্গাপুরের বন্দর। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিকস ও আইটি পণ্যেরও অন্যতম রফতানিকারক দেশ এটি।
নরওয়ে
মাথাপিছু জিডিপি: ৫৪ হাজার ৯৪৭ ডলার
পেট্রোলিয়াম, জলবিদ্যুত্, মাছ, বন ও খনিজ সম্পদের এক বিশাল আধার নরওয়ে। দেশটির মোট জিডিপির ৫৭ শতাংশই আসে অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম গ্যাস রফতানি থেকে। যার থেকে অর্জিত অর্থ শিল্প খাতের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। তবে এর জিডিপি পেট্রোলিয়াম খাতের ওপর অনেকটাই নির্ভিরশীল। সরকারি রাজস্বের ৩০ শতাংশই আসে এ খাত থেকে।
ব্রুনেই
মাথাপিছু জিডিপি: ৫৩ হাজার ৪৩১ ডলার
অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য হলেও এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মাথাপিছু জিডিপির দেশ ব্রুনেই। স্থিতিশীল অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে তারা। ব্রুনেইয়ের মোট রফতানির ৯০ শতাংশই আসে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে, জিডিপিতে যার অবদান ৬০ শতাংশ। সূত্রঃ বণিকবার্তা।