Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অনলাইন যোগাযোগে দেশী ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ‘লক্ষ্মী’

সিউল, ১২ জুন ২০১৪:

অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপ, ভাইবার ও উইচ্যাটের সুবিধা নিয়ে তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ বাংলাদেশী ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ‘লক্ষ্মী’। জনপ্রিয় এসব যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা পাওয়া যাবে রেশনাল টেকনোলজিসের তৈরি এ অ্যাপ্লিকেশনে। একাধিক বন্ধুর সঙ্গে ভিডিওচ্যাট, ডকুমেন্ট এডিট ও আঁকাআঁকির সুবিধা দিচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যের এ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। পাশাপাশি একই সময়ে ইউটিউবে উপভোগ করা যাবে পছন্দের গান ও ভিডিও।

chardike-ad

downloadলক্ষ্মীর উন্নয়নে দুই বছর ধরে কাজ করছে রেশনাল টেকনোলজিস। ওয়েবভিত্তিক এ অ্যাপ্লিকেশনের অন্যতম প্রবর্তক ও রেশনাল টেকনোলজিসের চিফ অপারেটিং অফিসার তাসফিন দেলোয়ার বলেন, স্কাইপ যে রকম আমেরিকার, ভাইবার ইসরায়েলের, উইচ্যাট যেমন চায়নার, সে রকম লক্ষ্মী হতে পারে বাংলাদেশের গর্ব। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিরাপদে সংযুক্ত থাকতে পারবেন লক্ষ্মীর ব্যবহারকারীরা।

সেলফোন, ট্যাব বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে শুধু ব্রাউজার ব্যবহার করে চলবে লক্ষ্মী। আর এটি ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড বা লগইন করার প্রয়োজন নেই। ফলে ইন্টারনেটে ন্যূনতম প্রযুক্তিজ্ঞানের অধিকারী যে কেউ ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে সহজেই ভিডিও চ্যাট ও কনটেন্ট শেয়ার করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিব চৌধুরী বললেন, এ টুল অপার সম্ভাবনা নিয়ে আসবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান, রোগীকে চিকিত্সাসেবা প্রদান, আইনজীবী বা প্রকৌশলীর পরামর্শ দেয়া এমনকি ভার্চুয়াল অফিস পরিচালনাও সম্ভব এর মাধ্যমে।

সম্প্রতি আয়োজিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪তে রেশনাল টেকনোলজিসের তৈরি দুটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন লক্ষ্মী ও ‘সাক্ষী’র উদ্বোধন করা হয়। রেশনাল টেকনোলজিসের চিফ টেকনোলজি অফিসার আতাউল মুকিত জানালেন, ভবিষ্যতে সেলফোনে ব্যবহারকে লক্ষ্য রেখে এটির উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলা ভাষায় এর ব্যবহারের সুযোগ তৈরির বিষয়ে কাজ চলছে।

রেশনাল টেকনোলজিসের তৈরি আরেকটি সেলফোন অ্যাপ সাক্ষীর মাধ্যমে সহজেই ডাটা কালেকশন ও মনিটরিং করা যাবে। সেলফোন বা ট্যাবলেট পিসির মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে এর সুবিধা ব্যবহার করা সম্ভব। দেশব্যাপী বিতরণ বা ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট আছে, এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাপটি অত্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাবে। তথ্য সংগ্রহকারীর অবস্থান, তথ্য সংগ্রহের জন্য ছবি কোন অবস্থানে ও সময়ে তোলা হয়েছে, ডাটা কখন কোন অবস্থান থেকে সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে, এসব তথ্য সার্বক্ষণিকভাবে হালনাগাদ করা যায় এর মাধ্যমে। আর ওয়েবসাইটে এসব তথ্য প্রতিবেদন আকারে পাওয়া যাবে। এতে তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা ও সম্পূর্ণতা নিশ্চিত হয়।