Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আর্সেনালের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে সেমিতে বায়ার্ন মিউনিখ

arsenalবায়ার্ন মিউনিখের সাথে ম্যাচ জিতলেই দীর্ঘ ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলা হতো ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের। কিন্তু প্রতিপক্ষ যেখানে বায়ার্ন, সেখানে কি অতো সহজে জয় পাওয়া যায়? ঠিক এমনটাই হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে। সেই ম্যাচে অ্যাগ্রিগেটে ৩-২ ব্যবধান নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাভারিয়ানরা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়েছিলো। তখন থেকেই মূলত আর্সেনাল ভেবেছিলো এবার তাঁরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পদার্পণ করবে। কিন্তু কথায় বলে: “বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী”। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ যেন এই প্রবাদের জ্বলন্ত উদাহরণ।

chardike-ad

ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শুরুর পর থেকেই বায়ার্ন মিউনিখ এবং আর্সেনাল-দুই দলই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে থাকে। কেউ যেন কাউকে একবিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ। যার ফলস্বরূপ প্রথমার্ধের পুরো সময়টায় গোলশূন্য অবস্থা বিরাজ করে। তবে এই অবস্থা দীর্ঘায়িত করার জন্য দুই দলের গোলরক্ষকদের ধন্যবাদ দিতে হয় কারণ দুই গোলরক্ষকের উভয়েই প্রাচীরের মতো আগলে রেখেছিলেন উভয়ভাগ।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে বায়ার্নের দারুণ একটি আক্রমণ রুখে দেন আর্সেনালের গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। এর এক মিনিট পর বায়ার্ন‌ মিডফিল্ডার জামাল মুসায়লার আরও একটি শট থেকে আর্সেনালের জালকে অক্ষত রাখেন রায়া। ৩২ মিনিটে গোল করার সবচেয়ে ভালো সুযোগ আসে আর্সেনালের। তবে গাব্রিয়েল মার্টিনেলির সেই শটটি ফিরিয়ে দেন বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এজন্য বায়ার্ন মিউনিখকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৩ মিনিট পর্যন্ত। ৬৩ মিনিটে রাফায়েল গুরেইরোর অ্যাসিস্টে দারুণ এক হেডে আর্সেনালের জালে বল জড়ান হোসুয়া কিমিখ।

সেই গোলই যেন বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিলো গানারদের। এর পরে অবশ্য কোচ আর্তেতা কিছু খেলোয়াড় বদল করলেও আর গোল হয়নি। যার ফলে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাভারিয়ানরা। অন্যদিকে ২০০৯ সালের পর আবারো স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেয় গানাররা।