সিউল, ১৩ জুন ২০১৪:
বাণিজ্য ও চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত, ক্রমবর্ধমান রফতানি আয় ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সব মিলিয়ে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মানের কাছাকাছি অবস্থান করছে দক্ষিণ কোরীয় ওন। তবে অভ্যন্তরীণ ভোগ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির নীতিনির্ধারকদের, যা প্রবৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিনিময় হার বাড়তে থাকায় নিজ মুদ্রায় রফতানি আয়ও কম হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রা সরবরাহ ধরে রাখতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব কোরিয়া (বিওকে)। খবর ব্লুমবার্গের।
বুধবারের মুদ্রানীতি সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি তাদের সপ্তাহ মেয়াদি রেপোর সুদের হার টানা ত্রয়োদশ মাসের মতো ২ দশমিক ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে। ডলারের বিপরীতে কোরীয় ওনের মান গত এক বছর ১২ শতাংশ বেড়েছে, যাতে তাদের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। গত মাসে বিওকের গভর্নর লি জু ইওল বলেছিলেন, ফেরি দুর্ঘটনার পর ভোক্তা ও ব্যবসায়ে আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার। এটিও প্রবৃদ্ধির জন্য একটি হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এ হুমকি মোকাবেলায় গত মাসে কোরীয় কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কোরীয় অর্থনীতি কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসতে পারে— এমন একটি মোটামুটি প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে। তবে প্রবৃদ্ধি উত্সাহিত করার জন্য বর্তমান সুদের হারই যথেষ্ট। এদিকে ওনের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে বিওকের প্রয়োজন সুদের হার কমিয়ে আনা। কিন্তু অনেকটা নীরবেই মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর। সুদের হার কমিয়ে তারা তা আরো বাড়ানোর কথা ভাববে বলে মনে হচ্ছে না। চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপি ৪ শতাংশ এবং পরের বছর ৪ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে বিওকে।