Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফাইভ জি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করবে ইইউ ও দ. কোরিয়া

সিউল, ১৮ জুন ২০১৪:

পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ফাইভজি নিয়ে গবেষণায় জোট বাঁধছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও দক্ষিণ কোরিয়া। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতেই ফাইভ জি নিয়ে গবেষণা শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়। খবর এনডিটিভি।

chardike-ad

Logo_5Gমোবাইল ডিভাইস উত্পাদন ও সরবরাহে বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। নব্বইয়ের দশকে ব্যাপক জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনসের (জিএসএম) প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ইউরোপের কোম্পানিগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, দুটি অঞ্চল তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নতুন ও উন্নত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাবে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী মোবাইল ডিভাইসের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের মতো মোবাইল ডিভাইসের প্রসারের কারণে মোবাইল ব্রডব্যান্ডের ব্যবহারও বাড়ছে। এ কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যে টুজি থেকে থ্রিজি, ফোরজিতে উন্নীত হয়েছে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। উন্নত এ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে।

উন্নত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তাদের ব্যবসার কলেবর বাড়াচ্ছে। এ কারণে কর্মসংস্থানও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ কারণেই মূলত উন্নত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি গবেষণায় মনোনিবেশ করেছে ইইউ ও দক্ষিণ কোরিয়া।

ইইউর তথ্যমতে, ফাইভজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হাই-ডেফিনেশনের একটি চলচ্চিত্র ডাউনলোড করতে সময় লাগবে ৬ সেকেন্ড; যেখানে ফোরজিতে সময় লাগে ৬ মিনিটের মতো। এ বিষয়ে ইইউ টেলিকম খাতের কমিশনার নিলি ক্রোয়েস বলেন, ‘ফাইভজি প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারলে তা ডিজিটাল অর্থনীতি ও ডিজিটাল সমাজ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’

আগামী বছরের শেষ নাগাদ এ বিষয়ে গবেষণা শেষ হবে বলে আশাবাদী ইইউ ও দক্ষিণ কোরিয়া। ইউরোপের আলকাটেল-লুসেন্ট, ডিউচ টেলিকম, টেলিফোনিকা ও অরেঞ্জের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ফাইভজির গবেষণায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করবে।

ইইউ গত ডিসেম্বরে জানায়, সাত বছর ধরে ফাইভজি প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নে তারা ৭০ কোটি ইউরোর মতো ব্যয় করবে। এ অঞ্চলের টেলিকম খাতের কোম্পানিগুলো ফাইভজির গবেষণা ও উন্নয়নে এ সময়ে ব্যয় করবে ৩০০ কোটি ইউরোর বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ কোরিয়া এ গবেষণায় অংশগ্রহণ করার কারণে দেশটির স্যামসাংয়ের মতো শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ডিভাইস নির্মাতারা ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে স্যামসাং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে কিছুটা এগিয়েই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মোবাইল ডিভাইসের প্রসারের কারণে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবার প্রসার হচ্ছে খুব দ্রুত। এ কারণে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই গবেষণা চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পরবর্তী নেটওয়ার্ক সেবা ফাইভজি সরবরাহে ইউরোপ ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোই এগিয়ে থাকবে বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে।

এদিকে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াউই গত নভেম্বরে ফাইভজি নিয়ে গবেষণা শুরুর ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি এ খাতে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানায়। আগামী ২০২০ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি ফাইভজি সেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এরই মধ্যে গবেষণা কাজ শুরু করেছে। তবে যেখানে ইউরোপ ২০১৫ সালের মধ্যে এ সেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, সেখানে হুয়াউইর ২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রা প্রতিষ্ঠানটির জন্য খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।