২৫ জুন ২০১৪:
ঘুমের মধ্যে যারা নাক ডাকেন তারা হয়তো টের পান না। তবে আশেপাশে যারা থাকেন তারাই জানেন নাক ডাকার শব্দ কতটা যন্ত্রণাদায়ক। নানা কারণেই এ সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, গলার চারপাশে অতিরিক্ত চর্বি জমা, গলার পেশির নমনীয়তা কম যাওয়া কিংবা জন্মগত ত্রুটির কারণে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার শব্দ হতে পারে। এছাড়া চিত হয়ে ঘুমালেও নাক ডাকার শব্দ হয়। তবে কিছু টিপস মেনে চললেই সহজেই এই বিদঘুটে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কাত হয়ে ঘুমানঃ
চিত হয়ে কিংবা উপুড় হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুমান।সাধারণ আপনি যখন সোজা হয়ে ঘুমান তখন আপনার পাকস্থলিতে অনেক চাপ পড়ে। আর এর ফলে নাক ডাকার সমস্যা হয়। তাই যদি আপনার নাক ডাকার অভ্যাস থাকে তাহলে যেকোনো এক সাইড হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে আপনার নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হবে না।
অতিরিক্ত ওজন কমানঃ
শরীরের বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যাওয়ার কারণেও অনেক সময় নাক ডাকার কারণ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
এলকোহল ও ঘুমের ওষুধ ত্যাগ করুনঃ
প্রতিদিন এলকোহল ও ঘুমের ওষুধ গ্রহন আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ নার্ভ সিস্টেমের উপর চাপ সৃষ্টি করে যা পরবর্তিতে গলা ও চোয়ালের উপড় প্রেশার ফেলে নাক ডাকা শুরু করে। তাই নাক ডাকা থেকে পরিত্রান পেতে দ্রুত এলকোহল ও ঘুমের ওষুধ ত্যাগ করুন।
আপনার এলার্জি জনিত রোগের চিকিৎসা করুনঃ
আপনার যদি কোনো কিছুতে এলার্জি থাকে বিশেষ করে নাকে তাহলে দ্রুত তার চিকিৎসা করুন। কারন নাকের এলার্জির কারনে নাক বন্ধ থাকলে ঘুমের সময় নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। ফলে নাক ডাকা রোগ হতে পারে। তাই ঘুমানোর পূর্বে নাকে প্রয়জনীয় স্প্রে অথবা নেসাল ক্লীপ ব্যাবহার করুন।
ধুমপান ত্যাগ করুনঃ
ধূমপান শরীরের শ্বসনতন্ত্রের অনেক ক্ষতি করে। এর ফলে ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে। ফলে নিশ্বাস বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং নাক ডাকা আরম্ভ হয়। তাই অতিরিক্ত ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানঃ
নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমান। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেও সৃষ্টি হতে পারে এই আনাকাঙ্খিত সমস্যার।
প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় তৈরী করুনঃ
অনেক সময় অনিয়মিত ঘুমের কারণেরও নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন সময়মত পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
মাথার বালিশটা একটু উচু করে নিনঃ
ঘুমানোর সময় শরীরের সাথে মাথা সমান উচ্চতায় থাকলে এই সমস্যাটি অনেক বেশী হতে পারে। তাই ঘুমানোর পূর্বে মাথায় একটা অতিরিক্ত বালিশ ব্যাবহার করুন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। অপর্যাপ্ত পানি পান করার ফলেও অনেকের কাছে নাক ডাকা সমস্যায় পরিণত হয়।