ডিআইজি মোল‍্যা নজরুলসহ পুলিশের ৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আটক

 

chardike-ad

বাংলাদেশ পুলিশের এক ডিআইজি ও তিন পুলিশ সুপারকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

পুলিশ সদরদপ্তর সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টার পর নীলফামারীর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে। পরে দুপুরে তাকে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

রাজশাহীর সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে সংযুক্ত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকেও আটক করা হয়েছে। রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকায় পাঠানো হয়।

এছাড়া, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকেও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করেছে।

পুলিশ সূত্র আরও জানায়, আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম একসময় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কমিশনার ও ঢাকার গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

২৭তম ব্যাচের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে কর্মরত থাকাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কঠোর অবস্থান নেন। এর আগে সিটিটিসিতে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি নাটক’ সাজানোর অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। নোয়াখালীতে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন ও আন্দোলন দমনে শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের পর তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা করা হয়।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটাবিরোধী আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নিলে ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।