মঙ্গলবার । ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ৪ মে ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ন
শেয়ার

‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী’


'সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী'

 

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন, এই চর্চা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায়।

তিনি বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াতে সরকারকে অনুরোধ করছি। যে সাংবাদিক গিল্টি, যার পানিসমেন্ট হওয়া উচিত, আমরা সরকারের সঙ্গে থাকব। তবে গণহারে সাংবাদিকদের নামে মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী এবং এটা ভয়ের ব্যাপার।’

রোববার (৪ মে) দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫’- উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদক পরিষদ এই সভার আয়োজন করে।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা অথবা ভায়োলেন্ট অপরাধের মামলা চলছে। এটা কীভাবে সম্ভব? এটা আমাদের অসম্মানের কারণ। কেউ দোষ করে থাকলে সঠিকভাবে মামলা করে শাস্তি দেন। আমরা সত্যিকার অর্থে তার পাশে দাঁড়াব না, যদি অপরাধী কিংবা আগস্ট আন্দোলনের বিপক্ষে থাকে। কিন্তু ৬ থেকে ৭ মাস হয়ে গেছে, অনুসন্ধান একটুও এগোয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে ধন্যবাদ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিন্তু তারা ভয়ের মধ্যে থাকেন, মবের ভয়ে থাকেন। এখন ১৩ জন সাংবাদিক জেলে আছেন, তারা অপরাধী হলে বিচার হওয়া উচিত। তাদের কোনো বেইল হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকবে? বিষয়টা এমন হয়েছে কোনো মামলা হলেই একজন সাংবাদিককে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা বলেন জনগণের মামলা করার অধিকার রয়েছে। মেনে নিলাম মামলা করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সরকার কিছু করবে না? আইনের অপপ্রয়োগ হলে সরকার কিছু করবে না? সরকার হয়তো ২৬৬ জনের মামলা দেখতে পারছে না, র‌্যান্ডমলি ১০টা দেখুক। মিথ্যা প্রমাণ পেলে সরকার ব্যবস্থা নিক। কিন্তু সরকার সেটা করছে না। এভাবে মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হেনস্থাকারীদের বলিষ্ঠ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব, এই সরকারকে আমরা সমর্থন করি। এই সরকার পরিবর্তনের সরকার, সংস্কারের সরকার, গণতন্ত্রকে বলিষ্ঠ করার সরকার। মত প্রকাশের স্বাধীনতারকে দৃঢ় করার সরকার। কিন্তু এখন মামলার মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে প্রতীয়মান, কিন্তু সরকারের কাছে প্রতীয়মান হয় না? মামলার মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি বিশ্বেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে।’