Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইবোলা আতঙ্কে সতর্ক বাংলাদেশ

পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সকল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থল ও নৌবন্দরে চিকিৎসক টিম নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ। আগামী ৯০ দিনের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। খবর বাসসের।

মন্ত্রী বলেন, “প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস আফ্রিকা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে কয়েকদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আন্তর্জাতিক সতর্কতা জারি করেছে। তাই বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন যাত্রীকে বাংলাদেশে ঢোকার পথেই ইবোলা পরীক্ষা হবে।”
Ebola-virus-pink-jpgএছাড়াও পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি অ্যাকশন কমিটি গঠন করা হয়েছে।এছাড়াও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপিরচালক অধ্যাপক দীন মো. নুরুল হক, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

chardike-ad

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “ইবোলা ভাইরাস বাংলাদেশে ছড়ানোর ঝুঁকি খুবই কম। তাছাড়া পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা সংক্রমণের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বিমান যোগাযোগও নেই। তারপরও বিদেশ থেকে আসা কারো দেহে ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত হলে তাকে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিমানবন্দরের কাছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একটি আলাদা ওয়ার্ড চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।”

বৈঠকের শুরুতে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান ইবোলা ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা সবার সামনে তুলে ধরে বলেন, যেসব দেশে ইবোলা ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব দেশেই আক্রান্ত রোগীদের দেশত্যাগ করতে না দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। তারপরও বাড়তি সতর্কতা হিসাবে বাংলাদেশে বিমানবন্দর ও সব বন্দরে এই পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জানান, আগামী তিন মাস এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, লাইবেরিয়া, গিনি, সিয়েরা লিওন ও নাইজেরিয়াতে ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে এ পর্যন্ত ৯৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাইবেরিয়া সরকার ইতোমধ্যে সে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর, রক্তক্ষরণ, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, ডায়রিয়া ও বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সংক্রমণের পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে। ১৯৭৬ সালে কঙ্গোয় প্রথমবারের মতো সনাক্ত হয় ইবোলা ভাইরাস, যার নাম রাখা হয় সে দেশের একটি নদীর নামে।