জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এক বা একাধিক বেঞ্চ করার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বর্তমান বিধান সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে। নতুন বিধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপরাধীকে ক্ষমা করার সুযোগ থাকবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নবম দিনের সংলাপে এসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য ঐকমত্য হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাজধানীর বাইরে প্রতিটি বিভাগে প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে এক বা একাধিক বেঞ্চ থাকবে। অর্থাৎ হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে থাকবে—এই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যে কোন ব্যক্তির সাজা মওকুফ, স্থগিত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। তবে ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের কারণে, আদতে তা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই হয়। এ ক্ষমতায় লাগাম টানতে, দন্ডিত ব্যক্তি ক্ষমার যোগ্য কী না তা নির্ধারণে সুপারিশ কমিটি বা বোর্ড গঠনের প্রস্তাবে ঐকমত্য হয় সংলাপে।
সংলাপের পর অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এক বা একাধিক বেঞ্চ করার বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ভবিষ্যতে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, জামায়াত প্রস্তাব করে, ব্যক্তিগত অপরাধের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী বা তার পরিবারের অনুমতি ছাড়া ক্ষমা করা যাবে না অপরাধীকে। ভুক্তভোগীকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে দিতে। বিএনপি, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল এ প্রস্তাবে সায় দেয়।