আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড’র করা ক্ষতিপূরণ মামলা থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউ ইয়াংকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভুঁইয়া এ আদেশ দেন।

মামলার বাদী আবদুল কাদের ফারুক রাষ্ট্রদূতকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত মামলার বিবাদী থেকে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন।

chardike-ad

images (13)এই মামলায় যাদের বিবাদী করা হয় তারা হলেন- (১) ডাইংয়ুন ইনস্ট্রিজ লি.,  ২. ডাইংয়ুন ইনস্ট্রিজ এর প্রেসিন্ডেট মি. এইচ এস রোদ, (৩) দক্ষিণ করিয়ার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মি. লি ইউ ইয়াং।

এ ব্যপারে বাদীর আইনজীবী আনোয়ার জাহিদ ভুঁইয়া বলেন, যেহেতু মামলাটি ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য করা হয়। তখন ওই রাষ্ট্রদূতকে এ মামলার বিবাদী করা হয়েছিল যাতে করে তার দেশের লোককে তিনি চাপ প্রয়োগ করেন টাকা দেওয়ার জন্য। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ওই রাষ্ট্রদূতসহ সকল বিবাদীকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। এতে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। যাতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেজন্য বাদীর আইনজীবী বাধ্য হয়ে আদালতে ওই বাষ্ট্রদূতকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে বাদীর প্রতিষ্ঠান আরএন স্পিনিং মিলের জন্য মেশিনারিজ আমদানির জন্য দক্ষিণ করিয়ার নাগরিক মি. এইচ এস রো’র সঙ্গে ১৮ সেপ্টেম্বর বাদীর সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। বাদী খবর নিয়ে জানতে পারেন এলসি খোলার দেড় মাস আগেই মালামাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে গেছে। ফলে ওই মালামাল খালাস করতে বিলম্বের জন্য শিপিং চার্জ ও পোর্ট চার্জ বাবদ বাংলাদেশি টাকায় অতিরিক্ত ৮৩ লাখ ৯৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

ওই সময় বিবাদী বলেন, ওই খরচ তিনি বহন করবেন। কিন্তু এই খরচ বহন না করায় বাদীর সুদসহ মোট ৯৭ লাখ ১০ হাজার ৬৭৯ টাকা ক্ষতি  হয়। টাকা পরিশোধ না করায় ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন বাদী।