
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘অনেকে আমাদের বিরুদ্ধে বলে, আমরা নাকি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছি। অথচ এই গণ-অভ্যুত্থান না হলে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আপনাদের আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হতো। আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানের পথে না গেলে, কোনো নির্বাচন নিয়ে আজ স্বপ্নও দেখতেন না আপনারা।’
সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। আমরা চাই মানুষের মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত হোক। আমরা চাই প্রকৃত ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হোক। কিন্তু সেই অধিকার পেতে হলে জনগণকেই জেগে উঠতে হবে।”
দলীয় রাজনীতিতে ‘চাঁদাবাজির অর্থনীতি’র অভিযোগ নাহিদ ইসলাম বক্তব্যে স্পষ্ট অভিযোগ তুলে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে একটি চাঁদাবাজির অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতাকর্মীকেও সেই চাঁদাবাজির জালে জড়ানো হয়েছে। কেউ কেউ এনসিপির নাম ভাঙিয়ে এই অপকর্ম করছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এর বিরুদ্ধে ঘরের ভেতর থেকেই সংগ্রাম শুরু করব। সে কারণেই এনসিপি ঘোষণার পরপরই আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলাম।”
জামালপুরে ‘রাজনৈতিক মুক্তি’র দাবি নাহিদ বলেন, গত ১৭ বছর ধরে জামালপুরে রাজনীতি ছিল একটি গডফাদারের কাছে জিম্মি। আমরা সেই জিম্মিদশা থেকে জনগণকে মুক্ত করেছি। এখন সময় এসেছে, জনগণের রাজনীতি গড়ার। তাই এনসিপির রাজনীতিকে সমর্থন দিন, দেশ গড়ার সংগ্রামে শরিক হোন।
পদযাত্রা ও জনসভার চিত্র এর আগে তমালতলা থেকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশাল পদযাত্রা বের হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তা শেষ হয় ফৌজদারি মোড়ে জনসভাস্থলে এসে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফর রহমান, ডা. তাসনিম জারা, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন শত শত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।







































