বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

টেলিগ্রামে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ দেওয়ার নামে চাঁদাবাজি


hasina-kader

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিগ্রাম গ্রুপকলে বৈঠকের সুযোগ দেয়া নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আর এমন অভিযোগের তীর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দিকে। বিষয়টি নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই তৈরি হয়েছে চরম অস্বস্তি ও ক্ষোভ।

ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮-এ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে—দলটি বর্তমানে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। বিভিন্ন অননুমোদিত টেলিগ্রাম গ্রুপ গজিয়ে উঠেছে, যেগুলোতে শেখ হাসিনার সরাসরি যুক্ত থাকার দাবিতে টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়া এসব গ্রুপে গোয়েন্দা সংস্থার অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। দলীয় কর্মীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং রাজনৈতিক নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন অনেক নেতা-কর্মী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত এক বছরে আওয়ামী লীগের জন্য টেলিগ্রাম একটি প্রধান সংগঠনী প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। কিছু গ্রুপে সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার পর্যন্ত। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। এতে কেন্দ্রীয়, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় নেতারাও যুক্ত হন।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র নিউজ১৮-কে জানায়, শেখ হাসিনা যখন কোনো আলোচনায় নিজে যুক্ত হন, তখনও কারা তার সামনে কথা বলবেন, সেটি নিয়েও চলে টাকা লেনদেন।

আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তৃণমূল ও দলীয় নেতা-কর্মীরা ওবায়দুল কাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখতে তিনি একাধিক টেলিগ্রাম গ্রুপ খুলে প্রতিদিন বক্তব্য দিচ্ছেন। এসব গ্রুপ রাজনৈতিক কল্যাণের চেয়ে বরং আর্থিক কেলেঙ্কারির মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও দাবি করেন, ওবায়দুল কাদের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকেও শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নামে অর্থ নিয়েছেন।

একাধিক সূত্রের ভাষ্যমতে, ওবায়দুল কাদের এখন প্রতিদিন নিজের টেলিগ্রাম গ্রুপে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন। তবে এসব বক্তব্যে নেই কোনো বাস্তবধর্মী রূপরেখা বা কৌশল—আছে শুধু নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখার মরিয়া চেষ্টা।

এই সব তথ্য ও অভিযোগ ঘিরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে এক ধরনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।