বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ৩১ জুলাই ২০২৫, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

হাসিনাকে ১০ বার ফাঁসিতে ঝোলালেও তার অপরাধ কমবে না: নাহিদ


nahid

সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইলে বুধবার রাতে জুলাই পদযাত্রায় বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “শেখ হাসিনাকে দশবার ফাঁসিতে ঝুলালেও তার অপরাধ কমবে না।” বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ১০টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইলে ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের সময় বুক চিতিয়ে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছেন। এই বাইপাইল ছিল সেই সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ হটস্পট। নারায়ণগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, সাভার, আশুলিয়া এবং টঙ্গীর মানুষ একসাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বলে ঢাকার মানুষও রাজপথে নামার সাহস পেয়েছিল।”

তিনি বলেন, ‘সাভার-আশুলিয়ায় গণঅভ্যুত্থানের সময় আমরা জানি, কী নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। গুলি চালানো হয়েছিল, আমার ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল। এখানে বক্তব্য রেখেছেন শহীদ সজলের মা। যাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল নির্মমভাবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে নাহিদ বলেন, “সারা দেশে আমাদের ভাইদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। সেই শেখ হাসিনাকে দশবার ফাঁসিতে ঝুলালেও তার অপরাধ কমবে না। এ দেশের মানুষ তাকে কোনোদিন ক্ষমা করবে না।”

তিনি বলেন, ‘ঢাকার পাঁচটি উপজেলা থেকে আগামীতে নেতৃত্ব তৈরি হবে। দীর্ঘদিন এ উপজেলাগুলো বৈষম্য এবং বঞ্চনার শিকার হয়েছে। আমরা মনে করি এ পাঁচটি উপজেলায় অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব। শ্রমিক অঞ্চল রয়েছে এ সাভারেও। কিন্তু নানা কারণে শ্রমিকরা আন্দোলন গড়ে তোলে। কারণ শ্রমিকদের ন্যায্যমজুরি দেওয়া হয় না। এ শ্রমিকরা আমাদের গণঅভ্যুত্থানে শক্তি জুগিয়েছিল। রাজপথে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল। আমরা সেই শ্রমিকের ন্যায্যমজুরির জন্য লড়াই করতে চাই। আমরা সাভার-আশুলিয়াসহ পুরো ঢাকা জেলাকে চাঁদামুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

‘জুলাই পদযাত্রা’র অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “৩০ দিনের এই পদযাত্রা চলাকালে আমাদের নানা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। হামলা ও অপপ্রচারের মধ্যেও আমাদের গন্তব্য থেমে যায়নি। জনতার ঢল প্রমাণ করেছে, মানুষ পরিবর্তন চায়।”

সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির ঢাকা জেলা সভাপতি মেহরাব সিফাত, মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ডা. তাসনিম জারা এবং দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।