
ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। এই জয়ের ফলে ফাইনাল নিশ্চিতের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২২.৩ ওভারে ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। বল হাতে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন। ৬.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে শিকার করেন ৪টি মূল্যবান উইকেট।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই কুপাকওয়াসি মুরাদজিকে ফিরিয়ে শুরু করেন ইমন। এরপর লিরয় চিওয়াউলা ও কিয়ান ব্লিগনটকেও পাঠান সাজঘরে।
স্পিনার সানজিদ মজুমদার ও স্বাধীন ইসলামও সমান তালে সঙ্গ দেন। দুজনই তুলে নেন ২টি করে উইকেট।
অন্যপ্রান্তে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ওপেনার নাথানিয়েল হ্লাবানগানা (২৬) ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার ব্র্যান্ডন এনডিওয়েনি (২০), কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ ব্যাটার শেল্টন মাজভিতো এলবিডব্লিউ হন ইমনের বলে। জিম্বাবুয়ের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ৮৯ রানে।
লক্ষ্য ছিল সহজ, তবে শুরুটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। মাত্র ৫ রানের মাথায় ওপেনার রিফাত বেগ শূন্য রানে আউট হন। এরপর তামিম ও কালাম সিদ্দিকী দ্বিতীয় উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। ১৬ বলে ২০ রান করে কালাম বিদায় নেন।
এরপর রিজান হাসানকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে অপরাজিত ৫২ রানের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ৪৯ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম আর ২৬ বলে ২১ রানে রিজান।
মাত্র ১৫.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এদিকে এ জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলার যুবারা। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে প্রোটিয়াদের সমান ৬ পয়েন্ট আজিজুল হাকিমদের। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে কোনো জয়-ই পায়নি জিম্বাবুয়ে।
ফাইনালের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে আরও দুটি ম্যাচ আছে লাল সবুজদের। ৬ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা আর ৮ আগস্ট জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে যুবারা। এরপর ১০ আগস্ট ফাইনালে প্রোটিয়াদের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ।








































