
ভারতে ১৪০ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের সময় একটি বড় পাখি বিমানের ইঞ্জিনে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। পাইলট অবিলম্বে জরুরি ব্রেকের মাধ্যমে টেকঅফ বাতিল করেন। বুধবার দুপুরে পুনে থেকে ভুবনেশ্বরগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটে। ওই ফ্লাইটের যাত্রী মোহাম্মদ নাদিম বলেন, ‘বিমান উড্ডয়নের জন্য গতি নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ইঞ্জিন থেকে আগুন বের হতে দেখি। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট জোরে ব্রেক কষেন। এত জোরে ব্রেক করা হয় যে কিছু যাত্রীর মোবাইল পড়ে যায় এবং এক নারীর কোল থেকে একটি শিশু পড়ে যায়।
নাদিম জানান, বিমানটি প্রায় ১৫-২০ সেকেন্ড রানওয়েতে চলার পর থেমে যায়। পুনে বিমানবন্দরের রানওয়ে দৈর্ঘ্য ২,৫৩৫ মিটার (৮,৩১৬ ফুট)। অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ধৈর্যশীল বান্ডেকর জানান, এই ধরনের বিমানের টেকঅফের আগে সর্বোচ্চ গতি সাধারণত ২৫০-৩০০ কিমি/ঘণ্টা হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, একটি বিমানের টেকঅফের ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গতি থাকে — ভি১ (ডিসিশন স্পিড), ভিআর (রোটেশন স্পিড) এবং ভি২ (টেকঅফ সেফটি স্পিড)। ভি১ হলো সেই সর্বোচ্চ গতি যার আগে পাইলট নিরাপদে উড্ডয়ন বন্ধ করতে পারেন।
একবার ভি১ পেরিয়ে গেলে, টেকঅফ চালিয়ে যেতে হয়। আবহাওয়া ও বিমানের ওজন অনুযায়ী এই গতি নির্ধারিত হয়। পুনে বিমানবন্দরের রানওয়ের নিরাপত্তা ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) আওতাধীন।
এর আগেও গত মাসে দিল্লি-পুনে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটে বার্ড হিট ধরা পড়েছিল ল্যান্ডিংয়ের পর। জুন মাসে, ভুবনেশ্বর থেকে আসা আরেকটি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট পুনে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে কুকুর দেখতে পেয়ে ‘গো-অ্যারাউন্ড’ করে।







































