
কক্সবাজারের বালিয়াড়ি সৈকতে বৃষ্টিভেজা রাতে ফুটবল খেলতে দেখা গেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে। রাজনৈতিক উত্তাপ আর জল্পনাকল্পনার ভিড়ে বুধবার রাতে এই ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখেছে পর্যটন শহর কক্সবাজার।
ঝুম বৃষ্টির মধ্যেই হোটেল-মোটেল জোনে ঘুরে বেড়ান এই নেতা। পরে সৈকতের ধারে একদল তরুণের সঙ্গে মেতে ওঠেন ফুটবলে। সঙ্গে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সুজা উদ্দিন ও স্থানীয় সংগঠক খালিদ বিন ওয়ালিদ।
তবে এই ‘ঘোরাঘুরি’ নিয়ে দল ও রাজনৈতিক মহলে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। কারণ, ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে কাউকে না জানিয়ে কক্সবাজারে হাজির হন এনসিপির পাঁচ শীর্ষ নেতা—যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও তার স্ত্রী এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী।
গোপন বৈঠকের গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ওইদিন দুপুরে তারা কক্সবাজারের একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই বুধবার রাতে পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠায় এনসিপি। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই জবাব দেওয়া তাদের বাধ্যতামূলক।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও তার স্ত্রী হোটেল ছেড়েছেন। তারা কক্সবাজারের বাইরে চলে গেছেন বলেও খবর রটে।
এ বিষয়ে হোটেল ‘প্রাসাদ প্যারাডাইস’ এর ব্যবস্থাপক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, “তারা হয়তো দুপুরের পর চলে যেতে পারেন। তবে নিশ্চিত নই।” পরে হোটেলের এক অভ্যর্থনা কর্মকর্তা জানান, “সারজিস কখন বেরিয়েছেন জানি না, তবে শুনেছি বেরিয়ে আবার ফিরেছেন। কখন চেকআউট করবেন, সেটাও আমরা জানি না। স্থানীয় নেতারাই আমাদের হয়ে যোগাযোগ রাখছেন।”
এদিকে এনসিপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউই এই সফর নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। পাঁচ শীর্ষ নেতার এই রহস্যময় কক্সবাজার যাত্রা ও বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলার ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে নানা প্রশ্ন।








































