
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন রক্ষণশীল বিরোধী দল ভূমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুল। শুক্রবার (৫ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হন।
দেশটির ৫০০ আসনের পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন ৪৯২ জন সদস্য। গণনায় দেখা যায়, অনুতিন চার্নভিরাকুল ২৪৭টিরও বেশি ভোট পান, যা তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে। আগামী চার মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই তিনি সংসদ সদস্যদের সমর্থন অর্জন করেন।
এর আগে ক্ষমতাসীন ফিউ থাই পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে গত মাসে ‘নীতিশাস্ত্র কেলেঙ্কারির’ অভিযোগে সাংবিধানিক আদালত বরখাস্ত করেছিল। সেই সিদ্ধান্ত থাই রাজনীতিতে বড় ধাক্কা এনে দেয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুতিনের জয় তাই সিনাওয়াত্রা পরিবার ও তাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের জন্য আরেকটি আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রবীণ রাজনীতিক অনুতিন চার্নভিরাকুল একসময় ফিউ থাই জোটের অংশ ছিলেন। তবে প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের সময় সিনাওয়াত্রা সরকারের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্প্রতি তিনি জোট ছাড়েন। তার নেতৃত্বাধীন ভূমজাইথাই পার্টি স্বাস্থ্যনীতি ও রক্ষণশীল অবস্থানের কারণে গত কয়েক বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে।
গত দুই দশক ধরে থাই রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত সিনাওয়াত্রা বংশের জন্য অনুতিনের জয় বড় ধাক্কা হিসেবে এসেছে। ভোটের দিনই রাজবংশের প্রধান এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ব্যাংকক ত্যাগ করেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।
থাইল্যান্ড এখন রাজনৈতিক রূপান্তরের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। অনুতিন চার্নভিরাকুলের নেতৃত্বে আগামী চার মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে সিনাওয়াত্রা বংশের শক্তিশালী ভিত্তি এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে থাইল্যান্ডে স্থিতিশীলতা ফিরবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।






































