বৃহস্পতিবার । ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

গ্রেপ্তার কোরিয়ানদের ‘অবৈধ এলিয়েন’ বললেন ট্রাম্প, ক্ষুব্ধ সিউল


trump-myungযুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া তিন শতাধিক দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিককে ‘অবৈধ এলিয়েন’ আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে অভিবাসন অভিযান সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি বলব তারা অবৈধ এলিয়েন (অভিবাসী) ছিল এবং আইসিই কেবল তার কাজ করছে।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা দ্রুত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি লি জে-মিয়ং যুক্তরাষ্ট্রে হুন্ডাই মোটর–এলজি গাড়ির ব্যাটারি কারখানায় অভিবাসন অভিযানে শত শত নাগরিক গ্রেপ্তারের ঘটনায় সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সাভানার কাছে অবস্থিত ওই নির্মাণাধীন প্ল্যান্টে অভিযান চালায় আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট)। সেখানে প্রায় ৪৭৫ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। এটি মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের শাখা আইসিই পরিচালিত বৃহত্তম একক-সাইট অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন বলেন, রাষ্ট্রপতি লি কর্মকর্তাদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের নাগরিকদের অধিকার ও স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়া উচিত নয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারী দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া চলবে না। তিনি আরও জানান, সরকার একটি বিশেষ দল গঠন করেছে এবং প্রয়োজনে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওয়াশিংটনে গিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

শনিবার জরুরি বৈঠকের আগে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক মন্তব্যে চো হিউন বলেন, “আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং আমাদের নাগরিকদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে গভীর দায়িত্ববোধ করছি। আমরা বিলম্ব না করে ঘটনাস্থলে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করব।”

প্রসঙ্গত, যে কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে, সেটি বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য ব্যাটারি সরবরাহের উদ্দেশ্যে নির্মাণাধীন। ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান অভিবাসন দমন অভিযানের অংশ হিসেবেই সেখানে এই অভিযান চালানো হয়।