ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান সরকারি ভবনে এবার সরাসরি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এটাই প্রথমবারের মতো সরকারি ভবনকে টার্গেট করল মস্কো। স্থানীয় সময় গভীর রাতে চালানো এই হামলার সময় ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা যায় এবং তীব্র বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে শহর।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর রাশিয়া ৮০৫টি ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ৭৫১টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর বিবিসি।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেন থেকে ছোড়া অন্তত ৬৯টি ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে ২১টি ক্রাসনোদার ক্রাই অঞ্চলে, ১৩টি ভোরোনেজে এবং ১০টি বেলগোরোডে ধ্বংস করা হয়েছে। বাকিগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভূপাতিত হয়।
হামলার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, “৮০০টিরও বেশি ড্রোন, ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র, এর মধ্যে চারটি ব্যালিস্টিক ব্যবহার করে ইউক্রেনকে টার্গেট করা হয়েছে। এখনই সময় প্যারিসে যে চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়ন করার।”
বিবিসির কিয়েভ সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে এতদিন রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল খুবই বিরল। কিন্তু এবার সেই নিরাপত্তার ভেদ ঘটিয়েছে রুশ বাহিনী।
হামলায় কিয়েভ শহরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বহুতল আবাসিক ভবন আংশিকভাবে ধসে গেছে। এতে এক নবজাতকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া জেলেনস্কির জন্মস্থান ক্রিভি রিহ শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত স্থাপনায়ও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর পশ্চিমাদের প্রতি সতর্কবার্তা দিতে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দেন, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কোনো উদ্যোগ নিলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। সেই হুঁশিয়ারির পরপরই ঘটে গেল এই ভয়াবহ হামলা।
