
ছবি: সংগৃহীত
আজ ৬ ডিসেম্বর—বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় এক দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে দেশজুড়ে টানা গণঅভ্যুত্থানের চাপে তৎকালীন সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ পদত্যাগ করে অস্থায়ী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আর এর মধ্য দিয়ে এরশাদের ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়, মুক্তি পায় গণতন্ত্র।
এরশাদবিরোধী আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরেই চালিয়ে আসছিল বিএনপি ও বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো। আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এবং ওয়ার্কার্স পার্টি–জাসদ নেতৃত্বাধীন জোট মিলে ১৯৯০ সালের ২১ নভেম্বর একটি যৌথ রূপরেখা প্রকাশ করে। কোনো জোটের সদস্য না হলেও জামায়াতে ইসলামীও এই আন্দোলনে অংশ নেয়।
নিরবচ্ছিন্ন গণআন্দোলন ও তিন জোটের ঘোষিত রূপরেখার ফলে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদ। এই দীর্ঘ স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন নূর হোসেন, ডা. মিলন, সেলিম, দেলোয়ার, তাজুলসহ অসংখ্য আন্দোলনকারী।
এর আগে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক আইন জারি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন সেনাপ্রধান এরশাদ। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ–বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুটি বড় জোটসহ বামপন্থি দলগুলোর ধারাবাহিক চাপের মুখেই তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভিন্ন ভিন্ন নামে দিবসটি পালন করে থাকে। বিএনপি দিনটিকে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ নামে পালন করে থাকে।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। গড়ে তুলেন এক দুর্বার গণআন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘৯০-এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র।’
উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।





































