
মৈত্রী দিবস দুই দেশের ঐতিহাসিক সংহতির পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সংস্কৃতিমূলক সেতুবন্ধন হিসেবেও কাজ করে
ঢাকায় ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশন দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধনকে নতুন করে স্মরণ করলো। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ভারত, যা দুই দেশের কূটনৈতিক ও মানবিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, মৈত্রী দিবস শুধু অতীতের গৌরবের স্মারক নয়, বরং ভবিষ্যতের সহযোগিতারও অনুপ্রেরণা। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশকে সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও মানুষের কল্যাণের ভিত্তিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বে দেখতে চায়। তাঁর মতে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং দুই দেশের জনগণের ত্যাগের গল্প দুই জাতির সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে।
দিবসটি ঘিরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনাগুলোতে উঠে আসে বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মিল ও সৌহার্দ্য। শুরুতে সুন্দরম প্রোডাকশনের “৭১ ইন সাইলেন্স” নাট্য পরিবেশনা, যেখানে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অংশগ্রহণে শারীরিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট। দর্শকপ্রিয় এই পরিবেশনার পরিচালনায় ছিলেন রমেশ মায়াপ্পন।
এরপর সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের নৃত্য পরিবেশনা আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। কোরিওগ্রাফার আনিসুল ইসলাম হিরোর নির্দেশনায় পরিবেশিত এই নৃত্যে বাংলাদেশের বর্ণিল সাংস্কৃতিক ধারা এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের প্রতীকী উপস্থাপন ফুটে ওঠে।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’ মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করে তরুণ থেকে প্রবীণ—সকল দর্শককে উৎসাহিত করে।
মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক সংগঠক, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং তরুণ প্রজন্মসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আয়োজকদের মতে, মৈত্রী দিবস দুই দেশের ঐতিহাসিক সংহতির পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সংস্কৃতিমূলক সেতুবন্ধন হিসেবেও কাজ করে। এটি শুধু একটি স্মৃতিচারণ নয়, বরং দুই দেশের অটুট সম্পর্কের প্রতি নবায়িত প্রতিশ্রুতির প্রতীক।





































