
রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এটিকে “নির্বাচনী পরিবেশে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় প্রচারণাকালে অস্ত্রধারীদের গুলিতে হাদি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
ঢামেকের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোশকাত আহমেদ জানান, “তার মাথায় গুলি লেগেছে, অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তিনি এখন কোমায় আছেন।”
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আহত প্রার্থীর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
ঘটনার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত তদন্তে নামার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা শনাক্ত- এসব তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। দোষীরা যে-ই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা দেশের সব রাজনৈতিক পক্ষ, সমর্থক ও নাগরিকদের প্রতি শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এই ঘটনায় রাজধানীতে উদ্বেগ বিরাজ করছে, আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের শনাক্তে জোর তৎপরতা শুরু করেছে।

































