Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঈমাম সেজে ১০ ভরি স্বর্ণ চুরি

goldখুলনায় আমিনা খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহবধূ অভিনব প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতারক ঈমাম সেজে তার কাছ থেকে ১০ ভরি সোনা ও ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।

বুধবার সকাল ৮টায় নগরীর শান্তিধাম মোড় সংলগ্ন জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যালয়ের সামনে প্রতারণার ফাঁদে পড়েন তিনি।

chardike-ad

আমিনা নগরীর ৮ ছোট মির্জাপুরের প্রয়াত আছফার আলীর স্ত্রী।

ভুক্তভোগী আমিনা বলেন, সকালে আমার কলেজিয়াট স্কুলে পড়ুয়া মেয়েকে শান্তিধামের মোড় থেকে স্কুল বাসে উঠিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। পথে জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যালয়ের সামনে শার্ট প্যান্ট পড়া দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক আমাকে বলে আপা আপনাকে হুজুর সালাম দিয়েছে আপনি উত্তর দিলেন না। জানেন উনি কে? উনি হচ্ছেন সিলেটের হযরত শাহ জালাল (র.) মসজিদের ইমাম। তখন আমি দেখি পাশে দাড়িওয়ালা এক হুজুর ধরণের ৩০-৩৫ বছরের লোক দাঁড়িয়ে আছেন। আমি তখন সালামের উত্তর দেই।

এ সময় ইমাম পরিচয়ধারী ওই লোক বলেন, আমি সকলকে পরিচয় দেই না। গায়েবিভাবে চলাচল করি। মা তোর তো স্বামী নেই। তোর অনেক সমস্যা। তুই তো অসুস্থ থাকিস। এভাবে একে একে আমার পরিবারের সব খবর সব জান্তার মতো বলে দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি তাকে বিশ্বাস করতে থাকি।

এক পর্যায়ে উনি বলেন, তোর সমস্যা সমাধনের জন্য একটি পাথর দেওয়া হবে। বাসায় যা আছে সব নিয়ে আয়। এবং ঈমানের পরীক্ষা দে।

আমি তার কথা বিশ্বাস করে তাৎক্ষনিক বাসায় গিয়ে ঘরে থাকা সকল গহনা (১০ ভরি ) ও ১৫ হাজার টাকা নিয়ে এসে তার হাতে তুলে দেই।

এসময় ওই শার্ট প্যান্ট পরা লোকটিকেও ইমাম পরিচয়ধারী লোকটি জিজ্ঞাসা করেন তোর কাছে কি আছে? তখন সে বলে তার কাছে ৯৫ হাজার টাকা আছে। সে টাকাও হুজুরকে দিয়ে দেয়।

এরপর হুজুর আমার মাথায় ও চোখে ফুঁ দিয়ে দেয়। এবং বলেন, কোনো দিকে না তাকিয়ে সামনে ১০০ হাত হাঁটলে কাঙ্খিত পাথরটা পেয়ে যাবি। আর পাথর পেয়ে গেলেই খুলে যাবে তোর ভাগ্য।

আমি তার কথা মতো কোনো দিকে না তাকিয়ে ১০০ হাত সামনে গিয়ে পাথর না পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। তখন বুঝতে পারি এটা প্রতারণা।

আমিনা খাতুনের ছেলে শাফী (১৭) বলেন, প্রতারকরা বিভিন্ন অপপ্রচার ও চিকিৎসার নামে সহজ-সরল মানুষদের বোকা বানিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মা এ ধরণের খবর শুনলেই আমাদের জানিয়ে সতর্ক করতো। অথচ আজ সে নিজেই প্রতারণার শিকার।

সে মনে করে, জানাশোনা লোক ওই প্রতারক চক্রকে তথ্য দিয়েছে। যার কারণে তারা নিখুঁতভাবে আমাদের পরিবারের বর্ণনা করতে পেরেছে। এতে আমার মা তাদের বিশ্বাস করেছে।

শাফী জানান, তারা থানায় জিডি করবেন এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। প্রতারকদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান ওসি।

তথ্য সুত্রঃ অর্থসূচক