মালয়েশিয়া সরকারের নতুন ইমিগ্রেশন পলিসিতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এখন ক্যাটাগরি-৩ ভিসা। দাপ্তরিক ভাষায় এটাকে বলা হচ্ছে- প্রফেশনাল এমপ্লয়মেন্ট পাস ক্যাটাগরি-৩। কার্যত এটি বিজনেস মাইগ্রেশন ভিসা। যারা মালয়েশিয়ায় নিজ নামে কোম্পানি করতে আগ্রহী তাদের জন্যে এটি আকর্ষণীয়। এছাড়াও এই ভিসাধারীরা ৩ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাস (পিআর) এর আবেদন করতে পারবেন।
এর মানে হচ্ছে- আপনি যখন আপনার কোম্পানির নিবন্ধন করবেন এবং কোম্পানির পরিচালক হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট নেবেন অথবা অন্য কোনো উচ্চ ক্যাটাগরির ওয়ার্ক পারমিট নেবেন, তার ৩ বছর পরই নিজ কোম্পানি বা অন্য কোম্পানিতে ৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে পিআর এর আবেদন করা যাবে।
ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্ট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় শিক্ষিত বাংলাদেশি, উচ্চ প্রোফাইলধারী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের এ ভিসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার দক্ষ ইমিগ্র্যান্ট কনসালট্যান্ট ড. রাজু আহমেদ বলেন, মালয়েশিয়ায় পিআর’এর আবেদন করতে পাঁচটি ক্যাটাগরি রয়েছে। মালয়েশিয়ায় পিআর নেয়ার জন্য এসব ক্যাটাগরির মধ্যে সবচেয়ে সেরা, দ্রুততম ও কার্যকরি হচ্ছে ক্যাটাগরি-৩ ভিসা।
পিআর এর জন্য আপনাকে মালয়েশিয়াতে শর্তানুযায়ী বিনিয়োগ করে নিজ কোম্পানির নিবন্ধন করাতে হবে। তবে নিজের ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন কোম্পানি পরিচালক হিসেবেই। এটি হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকর ওয়ার্ক পারমিট, যেটাকে বলে প্রফেসনাল এমপ্লয়মেন্ট পাশ অথবা ডিপি১০ ভিসা। তবে তিন বছর পরই আপনি মালয়েশিয়ায় পিআর’এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন।
রাজু বলেন, মালয়েশিয়া সত্যিকারের ব্যবসায়ীদের জন্যে বেশ মুক্ত বাজার, যদি আপনি মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চান।
তিনি বলেন, ক্যাটাগরি-৩ ভিসার আবেদন করার জন্যে নিজের স্বাক্ষর করা জীবনবৃত্তান্ত, শিক্ষাজীবনের সব সার্টিফিকেটের ফটোকপি, কাজের অভিজ্ঞতা, পরিবারের বিস্তারিত (স্ত্রী এবং সন্তানদের) জমা দিতে হবে।
বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, শুধু স্নাতক সম্পন্নরাই এ ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন। সুতরাং স্নাতক সার্টিফিকেটের ফটোকপি অবশ্যই জমা দিতে হবে। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এছাড়াও পাসপোর্টের সব পাতার ফটোকপি।
স্থানীয় কমিশনারের স্বাক্ষর করা চারিত্রিক সনদপত্র লাগবে। এছাড়াও দেশের ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট এবং স্থানীয় টেলিফোন বা কারেন্টের ইউটিলিটি বিল প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি।
সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কাগজপত্র ঠিক হয়ে গেলে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস এজেন্টের মাধ্যমে প্রার্থীকে তলব করেন। তখনই মালয়েশিয়া পৌছে ইমিগ্রেশনে যেতে হয় প্রার্থীকে।
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা হাতে দেয়।
ক্যাটাগরি-৩ ভিসা সম্পর্কে আরো জানতে এবং করণীয় সম্পর্কে খোঁজ নিতে ভিজিট করুন http://wwbmc.com/ ওয়েবসাইটে। এছাড়াও advahmed@outlook.com এবং
raju.advocate2014@gmail.com মেইলে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত।
মূল সোর্সঃ বাংলানিউজ২৪