Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাষ্ট্রপতির সুরক্ষায় হনুমান

india_langur_monkeyরাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে বানরের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে হনুমানের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতের পুলিশ।

বৃহস্পতিবার এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান মথুরা-বৃন্দাবন সফরের সময় ওই এলাকার ত্রাস বলে খ্যাত বানর বাহিনীর হাত থেকে রাষ্ট্রপতি, বিশেষ করে তার চশমা বাঁচাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

chardike-ad

কয়েকদিনের মধ্যেই মথুরায় গিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মন্দির চন্দ্রোদয় মন্দিরের গর্ভগৃহের উদ্বোধন করবেন। একইসাথে বাঙ্কে বিহারী মন্দিরও দেখতে যাবেন তিনি।

১৮৬২ সালে তৈরি এই বাঙ্কে মন্দিরের বানরদের রুখতে হনুমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বানরা বিভিন্ন সময়ে মন্দির দেখতে আসা ব্যক্তিদের ওপর আক্রমণ চালায়। এদের চশমা প্রীতির খবর সর্বজনবিদিত।

বানর থেকে বাঁচতে আরেকটা উপায় আছে, চশমার বদলে কন্টাক্ট লেন্স। কিন্তু তা প্রণব মুখার্জির জন্য প্রযোজ্য নয়। কেননা, তার চশমাটা বাইফোকাল।

এ সম্পর্কে প্রণব মুখার্জীকে খুব কাছ থেকে দেখা দিল্লি নিবাসী এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, কন্টাক্ট লেন্স দিয়ে তার পক্ষে দেখা সম্ভব হবে না বোধহয়। কারণ তার দূরের আর কাছের জিনিষ দেখার জন্য দুটো আলাদা পাওয়ার রয়েছে। তাই উপায় না দেখে হনুমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ জন্য ১০ সদস্যের এক ভাড়াটে হনুমান বাহিনী নিয়োগ করেছে মথুরা-বৃন্দাবন প্রশাসন। এদের দৈনিক ভাতা ১০০০ রুপি।

বানরদের দূরে রাখতে হনুমানদের পারদর্শিতা রয়েছে, এই কারণেই পাঁচ দিনের জন্য ভাড়া করা হয়েছে ওই হনুমান বাহিনী।

পুলিশ কর্মীরা বানর তাড়াতে হনুমানের গলায় শিকল পড়িয়ে রাস্তায় ঘুরছেনও, অনেকটা ডগ স্কোয়াডের কুকুররা যেমন ভিভিআইপি আসার আগে বিস্ফোরক খুঁজে বেড়ায়।

মথুরা-বৃন্দাবনের বাসিন্দারা আবার এই ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট।

তারা বলছেন, প্রশাসন যদি হনুমান দিয়ে বানর তাড়াতেই পারে, তাহলে সেটা বছরভর করা হয় না কেন? আমরা তো রোজ এই বানরদের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে পড়ি। জানলা দরজা সব বন্ধ করে রাখতে হয়।