Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চলচ্চিত্র অভিনেতা খলিল আর নেই

kholil
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা খলিলুল্লাহ খান খলিল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার পুরো নাম খলিলউল্লাহ খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ ডিসেম্বর, রোববার বেলা ১০ টা ৫৮ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অনেকদিন ধরেই ফুসফুস, লিভার ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন খলিল। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানান।

chardike-ad

মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘আজ বেলা ১০টা ৫৮ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এখনও তার মরদেহ হাসপাতালেই তাকে রাখা আছে।’

এদিকে তার এ আকস্মিক মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অভিনেতা মিজু আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উত্তরার একটি সেটে শুটিং করছিলেন। বর্ষিয়ান অভিনেতা খলিলের মৃত্যুর খবর শোনা মাত্র শুটিং বন্ধ করে তিনি স্কয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন।

তার মতো অনেকেই কাজ বন্ধ রেখে হাসপাতালের দিকে ছুটে আসছে। সেখানে খলিলের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত আছেন বলে জানিয়েছেন রাইজিংবিডির প্রতিবেদক রাহাত সাইফুল।

১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে জন্ম নেন অভিনেতা খলিল। তিনি একাধারে টিভি ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয় ১৯৫৯ সালে সোনার কাজল সিনেমার মাধ্যমে। এর পর নিয়মিতই ছোট পর্দায় এবং রুপালী জগতে তাকে দেখা গেছে।

খলিল অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- পুনম কি রাত, ভাওয়াল সন্ন্যাসী, উলঝান, সমাপ্তি, তানসেন, নদের চাঁদ, পাগলা রাজা, বেঈমান, অলঙ্কার, মিন্টু আমার নাম, ফকির মজনুশাহ, কন্যাবদল, মেঘের পরে মেঘ, আয়না, মধুমতি, ওয়াদা, ভাই ভাই, বিনি সুতার মালা, মাটির পুতুল, সুখে থাকো, অভিযান, কার বউ, কথা কও, দিদার, আওয়াজ, নবাব ইত্যাদি।