ফিলিস্তিনে ৫০ দিনব্যাপী সামরিক আগ্রাসনের একবারে শেষ দিকে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনে বিমান হামলা চালিয়ে ‘উচ্চমাত্রায়’ যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যামিনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল সেনা আগ্রাসনের শেষ চার দিনে বেসামরিক ভবনগুলোতে বিমান হামলার কারণে সেখানে অতিমাত্রায় যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছে। স্বাধীনভাবে তদন্ত করে এই প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও দাবি সংগঠনটির।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাভিত্তিক অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ফিলিপ লুথনার বলেন, ‘স্বাধীনভাবে তদন্ত করে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার বেশকিছু ভবনগুলোতে কোনো ধরনের সামরিক ও জঙ্গি কার্যক্রমের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
‘ঘটনাস্থল তদন্তে ও ইসরায়েলি মুখপাত্র বক্তব্য উভয় তথ্য থেকে এটা প্রমাণিত হয়েছে, সেই সময় গাজার বেসামরিক লোকজনকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই ওই বিমান হামলা চালানো হয়। ফলে সেখানে বসবাসরত অনেকের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে।’
তবে সংগঠনটি এও জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আগেই বেসামরিক নাগরিকদের ওই ভবন ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। এরপর হামলা চালিয়ে ভবনগুলো ধ্বংস করে ইসরায়েলি সেনারা। ওই হামলায় পাশের ভবনগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং বেশ কয়েক জন ফিলিস্তিনি হতাহত হন।
এদিকে লন্ডনে ইসরায়েলি দূতাবাস এ প্রতিবেদনকে অপ্রাসঙ্গিক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে অভিহিত করেছে। এ ধরনের ঘটনার কোনো লিখিত সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই বলেও দাবি করে ইসরায়েলি দূতাবাস।
ফিলিস্তিনের ওপর চালানো হামলা ২৬ আগস্ট ইতি টানে ইসরায়েল। এই হামলায় ২২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক ও নারী-শিশু। এতে ৬৭ সেনাসহ ৭৩ ইসরায়েলি নিহত হন।