Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি আইনের খসড়া অনুমোদন

CABINET MEETINGগাজীপুরের হাইটেক পার্কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ‘ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আইন- ২০১৪’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

chardike-ad

তিনি বলেন, ‘কিছু পর্যবেক্ষণসাপেক্ষে মন্ত্রিসভা ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কি হবে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় আইনের খসড়ায় প্রতিফলিত করার নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী সময়ে আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি গাজীপুরের হাইটেক পার্ক এলাকায় স্থাপিত হবে। এটি হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, তবে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াতে কিছু অতিরিক্ত বিষয় এ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশে ও বিদেশে আইসিটি ক্ষেত্রে অসাধারণ মেধাবী ও যোগ্য লোকদের আকৃষ্ট করার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষক হবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা দেওয়ার বিধান থাকবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় একাডেমিক কাউন্সিলে আইসিটি খাতের উদ্যোক্তারা থাকবেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত দুজন আইসিটি শিল্প উদ্যোক্তা থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন কমিটিতে পরিকল্পনা বিভাগের একজন প্রতিনিধি থাকবেন, যাতে তারা প্রকল্পগুলো ঠিকঠাক নিতে পারেন।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি দূরশিক্ষণ ও অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ খসড়া আইনের বিষয়ে আরও জানা গেছে, এটি হবে মূলত স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান। তবে প্রয়োজনে স্নাতক পর্যায়ে পাঠদানের সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে বলে খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি থাকবে। এ কমিটি উপাচার্য নিয়োগের জন্য প্রশাসনে অভিজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তিন শিক্ষাবিদের প্যানেল চ্যান্সেলরের কাছে উপস্থাপন করবে। চ্যান্সেলর চার বছরের জন্য উপাচার্য নিয়োগ দেবেন।

খুব শিগগিরই এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।