Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লাগাতার হরতালের চিন্তা করছে বিএনপি

bnp-logo-flag৫ জানুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশ করতে না দিলে প্রাথমিকভাবে দুই দিনের হরতাল ও পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দেয়ার চিন্তা করছে বিএনপি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।

সূত্র জানায়, সোমবার সমাবেশের অনুমতি না পেলে মঙ্গল ও বুধবার সারাদেশে টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিতে পারে ২০ দলীয় জোট। তবে অবস্থা বুঝে টানা কর্মসূচিসহ হরতাল ৭২ ঘণ্টারও হতে পারে বলে জানিয়েছে অপর এক সূত্র।

chardike-ad

সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি না দিলেও ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পালনে এখনও অনড় রয়েছে বিএনপি।

সমাবেশ হোক আর না হোক ৫ জানুয়ারি বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আসবেন বলে জানা গেছে। ওই দিন সকাল থেকেই পল্টন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নিবেন বলে জানিয়েছেন কয়েকটি সূত্র।

২০ দলের একাধিক সূত্র বলছে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসনকে বাসা থেকে বের হতে দেয়া হবে না। তবে অনুমতি না দেয়ার ইস্যুটাকে কাজে লাগিয়ে তারা লাগাতার আন্দোলন শুরু করবেন।

এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বরের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচির দিন খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক রেখে তাকে আটকে দেয়া হয়। সেদিন রাজপথে শুধু প্রশাসন ছিলো। কিন্তু এবার ৫ জানুয়ারি প্রশাসনের সাথে আওয়ামী লীগের লাখো নেতাকর্মী রাজপথে থাকবে।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬টি পয়েন্টে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় সরকার যেমন ২০ দলকে ৫ জানুয়ারি কোনো কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেবে না। এরকম পরিস্থিতিতে জোরপূর্বক কর্মসূচি পালন করতে চাইলে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে। তবে ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি পালনের জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করবে ২০ দল। সেরকম নির্দেশনা ও প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

তবে অপর সূত্র জানায়, যদি খালেদা জিয়া বাসা থেকে বের হতে পারেন তবে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন ওইদিন গণঅভ্যূত্থানও হতে পারে।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন জাগোনিউজকে বলেন, সমাবেশের অনুমতি না পেলে ম্যাডাম যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তা সর্বাত্মকভাবে সফল করার চেষ্টা করবে ছাত্রদল।

বিএনপির সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ দাবি করে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলছেন, যদি সমাবেশ করতে না দেয়, হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।