Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আউটসোর্সিং এর নামে তথ্য পাচার নয়

outsourceআউটসোর্সিং এর মাধ্যমে গ্রাহক ও দেশের গোপনীয় তথ্য পাচার করা যাবে না। এছাড়া দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও আইনি কাঠামোতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে- এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত ‘আউটসোর্সিং বন্দোবস্ত সম্পর্কিত নীতিমালায়’ এসব শর্ত দেওয়া হয়েছে। সোমবার নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়েছে। আর এদিনই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হয়েছে।

chardike-ad

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপন সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আউটসোর্সিং নীতিমালা, আউটসোর্সিং কর্মকাণ্ড, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন, চুক্তি, গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ, পরিবীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের বাইরে আউটসোর্সিং বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সেবা (আউটসোর্সিং) প্রবণতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব সেবাদানকারী তৃতীয় পক্ষের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান পরিপালনে ব্যাংকের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তাই আউটসোর্সিং সেবাগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো এ ঝুঁকি কমানোর জন্য নিজস্বভাবে বিশদ ও স্বচ্ছ আউটসোর্সিং নীতিমালা প্রণয়ন, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও অবকাঠামোগত সামর্থ বিশ্লেষণ, যথাযথ আউটসোর্সিং চুক্তি সম্পাদন, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের আপদকালীন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আউটসোর্সিং করতে হলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ সম্পর্কিত নীতিমালা করবে। এই নীতিমালা ও আউটসোর্স প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকাণ্ডের দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে বহন করতে হবে। ব্যাংকে মৌলিক কর্মকাণ্ড, মৌলিক ব্যবস্থাপনা ও মৌলিক ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা যাবে না। দেশের আইন সংবিধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো আইন, ব্যাংকের পরিচালনা ও মুনাফার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন কোনো কাজ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান করতে পারবে না।

এতে আরও বলা হয়, যেসব তথ্য আইন অনুসারে গোপন রাখার বিধান রয়েছে তা তৃতীয়পক্ষকে দেওয়া যাবে না। এমন তথ্য দিতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাসহ যাবতীয় বিষয় আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে পরিপালন করছে কি না তা নির্দিষ্ট সময় পর পর যাচাই-বাছাই করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে। তাছাড়া, প্রচলিত মানিলন্ডারিং আইনের লঙ্ঘনের কোনো কর্মকাণ্ডও করতে পারবে না আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান।