Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মিশরে ফুটবল ম্যাচে রণক্ষেত্র, নিহত ৪০

misor

মিশরের রাজধানী কায়রোয় খেলা দেখতে আসা ফুটবল দর্শকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ ও হুড়োহুড়ি করে স্টেডিয়াম থেকে বের হতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। এ ঘটনার পর ওই ফুটবল লীগ স্থগিত করেছে মিশরের কর্তৃপক্ষ।

chardike-ad

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রোববার রাজধানী কায়রোর সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্টেডিয়ামে ক্লাব জামালেক ও প্রতিপক্ষ এনপিপির খেলা ছিল। ওই খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে প্রবেশকে কেন্দ্র করে ক্লাব দুইটির সমর্থকদের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় তা প্রতিহত করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়ে। তুমুল সংঘর্ষের সময় দর্শকরা স্টেডিয়াম থেকে দ্রুত বের হতে গিয়ে পদদলিত ও দুই পক্ষের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জামালেক সমর্থক গোষ্ঠী আলট্রাস হোয়াইটস নাইটের দর্শকরা টিকিট ছাড়াই খেলা দেখতে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে ওই সংঘর্ষ হয়। ম্যাচ দেখতে জামালেকের প্রচুর দর্শক সেনাবাহিনী পরিচালিত রাজধানীর এয়ার ডিফেন্স স্টেডিয়ামে আসেন। এ সময় তারা স্টেডিয়ামের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। হোয়াইটস নাইটের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

হোয়াইটস নাইট তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, স্টেডিয়ামের ফটক খুব সরু ছিল। তাই হুড়োহুড়ি করে প্রবেশ করতে গিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ আমাদের সড়াতে টিয়ারগ্যাস ও পাখি মারা মতো গুলি করে।

২০১১ সালে একনায়ক হোসনি মোবারকের পতনের জন্য হোয়াইট নাইটসের সমর্থকরা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল। তাই এ বিষয়ে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্যে ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মিশরের ফুটবল কর্তৃপক্ষ ওই লীগ স্থগিত করেছে।

২০১২ সালে মিশরের পোর্ট সৈয়দে একটি ফুটবল ম্যাচে সংঘর্ষের ৭৪ জন দর্শক নিহত হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি।