Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে সিউলে দূতাবাস ঘেরাও

protest২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশী জনগণ হারিয়েছে তাদের ভোটাধিকার, হারিয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আওয়ামী সরকারের জুলুম, নির্যাতনের তীব্রতা শান্ত ছেলেটিও অশান্ত আন্দোলনে বাধ্য করেছে। আজ সিউলে দক্ষিণ কোরিয়া বিএনপি জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ এবং দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন ‘অবৈধ সরকারকে হঠাতে প্রতিবাদের সকল পথই তারা অবলম্বন করছে। জালিম সরকারের বিরুদ্ধে জনতা আজ রাজপথে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অবৈধ সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী খুন, হত্যা ও গুমের মাধ্যমে জনতার কন্ঠরোধ করতে চায়। এমনকি গোপালী পুলিশ বাহিনী বিচাবহির্ভূত হত্যাকান্ডের মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত। ক্রসফায়ারের নামে মুক্তিকামী জনতাকে ঘর থেকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করছে। হাসিনা সরকার ভূলে গেছে সারা বিশ্বের মুক্তিকামী বাংলাদেশীদের কথা।তারা আজ বসে নেই অন্যায়ের প্রতিবাদে। নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার মুক্তিকামী জনতাও আজ সরকার পতনের লাগাতার কর্মসূচি দিয়েছে’।

chardike-ad

আজ দুপুরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বি.এন.পি জোট কর্তৃক বিক্ষোভ সমাবেশ ও দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী পালিত হয়। দুপুর ১২ টায় বিক্ষোভ সমাবেশটির শুরু হয়। দক্ষিণ কোরিয়া বিএনপি সভাপতি এম. জামান সজলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন দক্ষিণ কোরিয়া বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। আরো বক্তব্য রাখেন মনির হোসাইন, তাজুল ইসলাম, হাসিবুল কবির হাসিব,  রাসেল, ও প্রিন্সসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনমূখী সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়।  বক্তারা বিএনপি জোটের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য সরকারের মদদে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ মারার তীব্র নিন্দা জানান। এই সকল প্রহসনের কাজ থেকে বিরত থেকে, দেশকে অতীব ধ্বংসের হাত থেকে বাচাঁতে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবী করেন নেতৃবৃন্দ। জনগনের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন রকম শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।