২০০৩ সালে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দুজনকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি উজির মিয়াকে (২৯) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীতে র্যাব-৪ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক সুরুজ মিয়া। এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া বায়তুল রব জামে মসজিদসংলগ্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সুরুজ মিয়া জানান, ২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর সাভারের আমিন বাজার এলাকায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তার ছোট ভাই মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী শাহানাজ বেগমের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন উজির মিয়া। এতে শাহানাজের দুই চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং অঙ্গহানী ঘটে।
ওই বছর একই এলাকায় প্রতিবেশী মোছা. সালমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় উজির মিয়া। সালমা তা প্রত্যাখ্যান করলে তাকেও লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে উজির। এতে সালমার এক চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২০০২ সালের এসিড অপরাধ দমন আইন এর ৫ (ক) ধারায় দায়ের করা মামলায় (মামলা নং ৮১) আদালত ২০০৪ সালে মৃতদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে।
কিন্তু উজির মিয়া আদালতের দেওয়া রায়ের পর থেকে নিজের পরিচয় গোপন রেখে হাফেজ সেজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পালিয়ে যায়। পরে মেঝো ভাইয়ের সম্পত্তি আত্মসাতের পরিকল্পনা করে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকায় আসেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত ৯টার দিকে কাজীপাড়ার বায়তুল রব জামে মসজিদ সংলগ্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে উজির মিয়াকে আটক করে র্যাব সদস্যরা।