Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশকে সমীহ করছেন মরগান

eng vs bangসোমবার অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড মহারণ। মহারণ এই অর্থে— ম্যাচটি দুটি দলের জন্যই মহাগুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই বাংলাদেশ উঠে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে, বিদায় নেবে ইংলিশরা। যদি ইংল্যান্ড জিতে যায়, তবে তাদের শেষ আটের সম্ভাবনা টিকে থাকবে। জীবন বাজির এ ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়োন মরগান বলেছেন, তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি সহজভাবে নিচ্ছেন না।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ ওয়ানডের রেকর্ড খুব উজ্জ্বল নয় বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত ১৫ বারের মুখোমুখিতে ইংলিশরাই জিতেছে ১৩টিতে, বাংলাদেশের জয় দুটি। এর পরও মরগান বাংলাদেশকে সমীহই করছেন। জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট সম্মান দেখালেন তিনি। ইংলিশ দলনায়কের কথায়, ‘ম্যাচটি জিতবই— এমনটা নিশ্চিতভাবেই আমরা ভাবছি না। ১০ বছর ধরে তারা (বাংলাদেশ) অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে এবং আমরা তাদের বিপক্ষে অনেক ম্যাচও খেলেছি। কিন্তু আমরা যদি ভালো খেলি, তাহলে ম্যাচটি জিততে পারি, এমন আত্মবিশ্বাস আমার সবসময়ই আছে। তবে এটা যত না বড় ম্যাচ, তার চেয়েও বড় মনে করাটা ভুল হতে পারে।’

chardike-ad

প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে যেমন খাটো করে দেখছেন না মরগান, তেমনি জয়ের ব্যাপারেও ভীষণ আত্মবিশ্বাসী তিনি। আইরিশ বংশোদ্ভূত এ ক্রিকেটার বলেছেন, তাদের বিশ্বকাপ এখনই শেষ হয়ে যায়নি। তার বিশ্বাস, বিপদে পড়া ইংলিশরা বাঁচা-মরার শেষ দুটি ম্যাচ নিয়ে মোটেও চাপে নেই এবং বিশ্বকাপ মিশনটা চাঙ্গা করে তোলার মতো যোগ্যতা তার দলের রয়েছে। ‘যখন একটি দল হারতে থাকে, তখন হাজারো তত্ত্ব উঠে আসে। কিন্তু এখন আমাদের এসবে কান না দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি জেতা শুরু করি, তখন সব কথা থেমে যাবে। আমাদের উচিত হবে, নিজেদের কাজটি ধারাবাহিকভাবে করে যাওয়া। আগের ম্যাচগুলোয় এটা করতে ব্যর্থ হয়েছি বলেই আমরা ধুঁকছি’— বলেন ইংলিশ দলনায়ক।

চার ম্যাচে এক জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে ইংল্যান্ড। তারা কেবল স্কটল্যান্ডকে হারাতে পেরেছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। সর্বশেষ ম্যাচে তাদের ছুড়ে দেয়া ৩১০ রানের লক্ষ্যটা ৯ উইকেট ও ১৬ বল হাতে রেখেই টপকে যায় লংকানরা। এখন তাদের সামনে মহাবিপদ। কারণ সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের আগে বাংলাদেশ। পরবর্তী দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে তো হারাতেই হবে, সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচের দিকে। কেননা বাংলাদেশ যদি কিউইদের হারিয়ে দিতে পারে, সেক্ষেত্রে দুই ম্যাচ জিতেও লাভ হবে না ইংলিশদের।

এসব সমীকরণ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে মরগান বরং পরের দুটি ম্যাচ জেতায়ই মনোযোগী। তার কথায়, ‘ছেলেরা নির্ভার। শ্রীলংকা ম্যাচে যা ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখতে এবং ভুল শোধরাতে আমরা একটি সপ্তাহ সময় পেয়েছি। সেই ম্যাচে বেশকিছু ইতিবাচক দিকও আছে। যেমন বোর্ডে ৩০০ রান তোলা। জো রুট দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছে এবং আমরা শেষ ১০-১২ ওভারে অসাধারণ খেলেছি। কিন্তু আমাদের বোলিং নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। আমরা বেশকিছু বাজে বল করেছি এবং যতটা আক্রমণাত্মক হওয়ার কথা ছিল তা পারিনি।’ এএফপি