দ্বিতীয় দফায় ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে সৌদি সরকার। অভিযানের প্রথম ৩ দিনেই রিয়াদ থেকে ৮৬৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার পুলিশ। এর মধ্যে ২০ জন নারী রয়েছে।
আবাসন ও শ্রম আইন ভঙ্গের কারণে এসব অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা আরব নিউজ এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশি আছে কি না তা উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে। পুলিশ শুধু বলেছে, এদের অধিকাংশ ইয়েমেন ও ইথিওপিয়ার নাগরিক। আর যেসব নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; তাদের অধিকাংশই ইথিওপিয়া থেকে আসা গৃহকর্মী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াদের বাথা, সুলায় ও শিল্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে প্রথম রোববার গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৪১ জন, দ্বিতীয় দিন ২৫০ জন আর বাকিরা তৃতীয় দিনে গ্রেপ্তার হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশি শ্রমিকরা দেশের কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি করছে এবং বসবাসের আইন ভঙ্গ করছে। তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ আল লাহিদান বলেন, অবৈধ শ্রমিকদের খুঁজে বের করতে ৩৭ টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও বিমানবন্দর দিয়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠান হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের নভেম্বরে সে দেশে অবস্থানরত অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সময় বেঁধে দেয় সৌদি সরকার। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও অনেকে বৈধ হতে পারেননি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে, ২০১৪ সালের শুরুর দিকে বৈধ হওয়ার সুযোগ দেয় সরকার। তারপরও এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি অভিবাসীরা।
উল্লেখ, দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে; যা দেশটির মোট প্রবাসীর তালিকায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।
সৌজন্যঃ অর্থসূচক






































