
তৃতীয় দফায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করার পর উত্তর কোরীয় নেতৃবৃন্দ যখন তা উদযাপনে ব্যস্ত, তখন আন্তর্জাতিক বিশ্বে বইছে সমালোচনার ঝড়। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তৃতীয়বারের মতো এ পরীক্ষা চালানোকে দেশটির চরম ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার তরফেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আশা করা হচ্ছে। তবে দেশটির অন্যতম মিত্রশক্তি বলে পরিচিত চীন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পরীক্ষা বন্ধের চেষ্টা চালালেও কোনরূপ কড়া মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভূ-বিজ্ঞান ও খনিজ সম্পদ ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, সোমবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটির শক্তিমাত্রা ছিল ৬-৭ টিএনটি ( পারমাণবিক শক্তি পরিমাপের একটি একক) কিলোটন। জাপানের বিশেষজ্ঞরা ৮-১০ কিলোটন শক্তিমাত্রার কথা বলেছেন। তবে জার্মান সরকার পরিচালিত ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে দাবী করছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি ছিল প্রায় ৪০ টিএনটি কিলোটন মাত্রার।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিয়েছে যে আক্রান্ত হলে তাঁরা পাল্টা আক্রমন চালাতে এতটুকু দ্বিধা করবে না। দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে এবং জরুরী পরিস্থিততিতে উপরের নির্দেশের অপেক্ষা না করেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও অনুমতি দেয়া হয়েছে।
(ইন্টারনেট অবলম্বনে)