বাংলা টেলিগ্রাফ প্রতিবেদক, ১ এপ্রিল ২০১৩:
বাংলা টেলিগ্রাফের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে পাঠক সমাবেশে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার অংগীকার ব্যক্ত করেছেন কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা। সকল রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে উঠে নিজেদের স্থান থেকে অবদান রাখতে পারলেই বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের যে সপ্ন তা পূরণ হবে। অতিথি-পাঠক সবার কন্ঠে ছিল একই সুর। সবার মুখে ছিল বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে বাধা নিয়ে আক্ষেপ, নতুন সম্ভাবনাগুলো নিয়ে উচ্ছ্বাস। দেশকে নিয়ে সপ্নে বিভোর সবাই।
গতকাল সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্টিত পাঠক সমাবেশ শুরু হয় বিকাল সাড়ে তিনটায়। কোরআন তেলোয়াত এবং জাতীয় সংগীত পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় বাংলা টেলিগ্রাফের পাঠকদের এই মিলনমেলা। মূল পর্বের শুরুতেই বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্কের উপর বিশেষ বক্তব্য দেন কোরিয়ার প্রবাসী তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ী এন ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ-কোরিয়ার সম্পর্কের ৪০ বছরের অর্জন, কোরিয়ায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা, কোরিয়া প্রবাসীদের করণীয় সম্পর্কে তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য তুলে ধরেন।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দুতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, ইনহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুসারাত মুসা, সিউল ন্যাশনাল ইউনভার্সিটির গবেষক ড. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা কোরিয়ায় বাংলাদেশের সুনাম রক্ষা করা এবং ভবিষ্যতে যারা কোরিয়া আসবে তাদের জন্য সুন্দর একটি অবস্থান রেখে যাওয়ার উপর গুরুত্ব দেন।
ইপিএসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তব্য দেন ইপিএসে আসা কর্মীরা। কোরিয়া আসা ইপিএস কর্মীদের সুনাম অন্য যেকোন দেশের চেয়ে বেশি এবং এই অবস্থান ধরে রাখার উপর জোর দেন ইপিএস কর্মীরা। কোরিয়ায় আসা কর্মীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল শিক্ষাগত যোগ্যতা। অধিকাংশ কর্মীই স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর হওয়ায় কাজে নিজেদের নৈপূন্যের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পরিচিত করার সুযোগ তৈরী হয়েছে। পাঠকদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফিরোজ আল মামুন, ফারুক আহমেদ, কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পিএইচডির ছাত্র এবং মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল মাহমুদ এবং আরো অনেকেই। বাংলা টেলিগ্রাফের কাছে পাঠকের প্রত্যাশা নিয়ে বক্তব্য দেন এলান খান চৌধুরি। সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলা টেলিগ্রাফের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সরওয়ার কামাল। অনুষ্টানটি উপস্থাপনা করেন সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র রুশো।