Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

৭৮ রানের লিড পেল বাংলাদেশ

Shakibচট্টগ্রাম টেস্টে বোলিংয়ের পর ব্যাটিংটাও ভালোই হলো বাংলাদেশের। ২৪৮ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৩২৬ রানে। ফলে ৭৮ রানের লিড পেল স্বাগতিকরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে এক ইনিংসে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২৫৯ রান, ২০০৮ সালে এই চট্টগ্রামেই। পাশাপাশি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৮ সালে মিরপুর টেস্টে আগে ব্যাট করে ২২ রানের লিড নিয়েছিল টাইগাররা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১৬ ও সাকিব আল হাসান ১ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। দিনের শুরুতে বেশ ভালোই খেলছিলেন দুজন। বিশেষ করে মুশিফক ডেল স্টেইনের বলে তিনটি দর্শনীয় চার মারেন।

কিন্তু দলীয় ১৯৫ রানে ওই স্টেইনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন মুশফিক। আম্পায়ার নট আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে সফল হন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলা। এই টেস্টে এটাই স্টেইনের প্রথম উইকেট। ২৮ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।

মুশফিকের বিদায়ে কিছুটা চাপেই পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন সাকিব। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে লিটনের সঙ্গে ৫৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে লিড এনে দেন তিনি।

মধ্যাহ্ন বিরতির সময় চট্টগ্রামে বৃষ্টি হানা দেয়। এতে ৩০ মিনিট পণ্ড হয়। ১২টা ১০ মিনিটে খেলা শুরুর কথা থাকলেও খেলা শুরু হয় ১২টা ৪০ মিনিটে। বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন সাকিব। ফিফটির খুব কাছেও চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফিফটি আর করা হয়নি। দলীয় ২৭৭ রানে ব্যক্তিগত ৪৭ রান করে বিদায় নেন সাকিব। সিমন হারমারের বলে জেপি ডুমিনিকে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি।

সাকিবের বিদায়ের পর সপ্তম উইকেটে লিটনের সঙ্গে যোগ দিয়ে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করে মোহাম্মদ শহীদ। ফলে দ্রুতই ৩০০ রান পার করে বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৩১১ রানে ভারনন ফিল্যান্ডারের বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফন জিলের হাতে ধরা পড়েন শহীদ। ১৯ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করেন তিনি।

শহীদের বিদায়ের পর এই ইনিংসের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিফটি পূরণ করেন লিটন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই প্রথম এক ইনিংসে বাংলাদেশের তিনজন ব্যাটসম্যান (তামিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন) ফিফটি প্লাস রান করলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের আট টেস্টের ১৬ ইনিংসে মাত্র একবার বাংলাদেশের দুজন ব্যাটসম্যান ফিফটি করেছিলেন। ২০০৮ ‍সালে সেঞ্চুরিয়ানে ফিফটি করেছিলেন জুনাইদ সিদ্দিকী ও মুশফিকুর রহিম।

ফিফটি করে বিদায় নেন লিটন। ১০২ বলে ৭ চারে ৫০ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। ফলে ১১৬.১ ওভারে ৩২৬ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ডেল স্টেইন ও সিমন হারমার সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া ফিল্যান্ডারের ঝুলিতে জমা পড়ে ২ উইকেট।

এর আগে প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৮ রানে অলআউট করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের ২৫ ওভার বাকি থাকতেই খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আজ তৃতীয় দিনে ৯৮ ওভার খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email