Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উৎসবের মধ্যদিয়ে কোরিয়াতে বৈশাখ উৎযাপন

এলান খান চৌধুরী, ১৪ এপ্রিল, ২০১৩:

বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মত কোরিয়াতেও আজ পালিত হল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। বাংলাদেশের মত বড় কলেরবে বৈশাখ উৎযাপনের সুযোগ না থাকলেও আজ রবিবার হওয়ায় অনেকেই নিজেদের ঘরোয়া পরিবেশে বৈশাখ পালন করেন। বাংলাদেশীরা নিজেদের কমিউনিটিভিত্তিক বিভিন্ন স্থানে বৈশাখ উৎযাপন করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজন ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশীরা দেশীয় খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে বৈশাখ উৎযাপন করেছে।

পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব। উৎসব মানেই আনন্দ, ভালবাসা, ভাললাগা। আর তাই এ উৎসবকে প্রাধান্য দিয়ে কবিগুরু বলেছেন- ‘প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র, দীন, একাকী কিন্তু উৎসবের দিনে মানুষ বৃহৎ, সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ।’

chardike-ad
আজ শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের যে দেশে বাঙালি আছে, সে দেশেই পালিত হয় পহেলা বৈশাখ জীবনের সবটুকু মাধুর্য দিয়ে। এ দিনটিকে ঘিরে থাকে হাজার স্বপ্ন-কল্পনা-জল্পনা। প্রিয়জনের সাথে একান্ত করে সময় কাটানোর এর চেয়ে সুন্দর দিন যেন আর হতেই পারে না। আর বাংলা সনের দিন শুরু হয় ভোরে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে।

 

বাংলাদেশ দূতাবাসের বৈশাখ পালন

নতুন রঙের সমারোহে বৈশাখ উদযাপন হল সিউলে। বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সকাল থেকে দূর দুরান্ত থেকে বাংলাদেশীরা আসতে থাকেন। সকাল ১১ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান, এতে কোরিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশি গান পরিবেশন করেন। বিদেশের মাটিতে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মত ,অন্যান্য খাবারের মধ্যে নানা ধরনের ভর্তা ও দেশিয় খাবার। সবার অংশগ্রহণ এ যেন এক মিলন মেলাতে পরিণত হয় ।

নতুন বছর সকলের জীবনে বয়ে নিয়ে আসুক অনেক অনেক সুখ, সমৃদ্ধি ও ভালোবাসা। প্রতিটি প্রাণ মুক্ত হোক নতুন আলোর নব উচ্ছাসে এ প্রত্যয় নিয়ে শুরু হল ১৪২০।