কল্পনা নয়, বাস্তবে ঘরে বসেও টাকা রোজগার করা সম্ভব। আপনি অজপাড়া গাঁয়ে থাকলেও অসুবিধা নেই। একটা কম্পিউটার আর তাতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই হলো।
জাদু জানে ‘ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট’
‘ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট’- এর কথা শুনেছেন? কেউ কেউ মনে করেন এটা স্রেফ একটা কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কিন্তু বাস্তবে এর কাজের পরিধি, কর্মসংস্থানে ভূমিকা অনেক ব্যাপক। অনলাইনে এ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। মাউসে একবার ক্লিক করলেই জানা যাবে, কিভাবে এ বিষয়ে দক্ষ হওয়া যায়, বিশ্বের বহু প্রতিষ্ঠান ঘণ্টা প্রতি আপনার সেবা কিনতে কিন্তু প্রস্তুত। তাই একবার জেনে গেলে আপনাকে আর ঠেকায় কে!
গ্রামে-গঞ্জে কাজের সুযোগ
এই পদ্ধতিতে কাজ করে লাভবান সব দেশের, সব মানুষ কিন্তু হবে না। যেসব দেশে মজুরি বা বেতন কম, বিশ্ববাজারে প্রবেশের সুযোগও অধিকাংশ মানুষ পান না, সেসব দেশের জন্য এটা রীতিমতো স্বপ্নের দ্বার উন্মোচিত হওয়ার মতো। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং আশেপাশের দেশের গ্রাম-গঞ্জের মানুষও এর মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেন।
সাফল্যের নমুনা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের এই তরুণী অফিসে বসেই কাজ করছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে কাজ করারও সুযোগ আছে তাঁর। কাজের ধরাবাঁধা কোনো সময়ের বালাই নেই। যখন, যেটুকু দরকার, ঠিক ততটুকু করলেই চলে।
সুযোগ, নাকি সুযোগের অপব্যবহার?
তবে সমালোচনাও আছে। গবেষকরা বলছেন , এভাবে কাজের বাজার সৃষ্টি করার ফলে কাজের নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এর ফলে সরকারি চাকরির নিয়ম, বেতন কাঠামোর জন্য হুমকিও তৈরি করছে এটি। তাঁরা মনে করেন, এক সময় এর পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।
লাভবানদের আরেকজন
জাগুস্টিন৷ অনলাইনে কাজ করে যারপরনাই লাভবান হওয়ার আরেক দৃষ্টান্ত। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টস-এর বাজার সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানও এখন আউট সোর্সিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। জার্মানিও ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে এই জগতে৷(ডয়েচে ভেলে)