Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

টেক্সাসে বন্দি বাংলাদেশিরা শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাচ্ছেন

এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশনরত বাংলাদেশি বন্দিদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে শামসুল আলম চৌধুরী তাদের অনশন ভাঙিয়েছেন । ছবি সংগৃহীত
এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশনরত বাংলাদেশি বন্দিদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে শামসুল আলম চৌধুরী তাদের অনশন ভাঙিয়েছেন । ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে টানা কয়েকদিন অনশনের মুখে বাংলাদেশি বন্দিদের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম চৌধুরী একাধিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

chardike-ad

তিনি অনশনরত বাংলাদেশিদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে তাদের এ অনশন ভাঙান। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় তারা অনশন ভাঙেন।

প্রায় মাস ছয়েক আগে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের দায়ে ওই বাংলাদেশিদের বন্দি করে টেক্সাসের সীমান্ত পুলিশ।

শামসুল আলম চৌধুরী বলেন, “ওই সেন্টারে বন্দি থাকা মোট ৪৮ জন বাংলাদেশি শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সার্ভিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান গেছে।”

তিনি বলেন, “তিনটি শর্তে অনশনরত বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। শর্তগুলো হচ্ছে—এক. প্রত্যেক বাংলাদেশির আইনসম্মত পরিচয়পত্র নিশ্চিত করা। তাদের পরিচয়পত্র প্রত্যয়নের দায়িত্ব বাংলাদেশ দূতাবাসের। দুই. প্রত্যেক বাংলাদেশি তাদের পক্ষে একজন ‘স্পনসর’ সংগ্রহ করবেন। তিন. মুক্তি পাওয়ার আগে প্রত্যেক বাংলাদেশিকে শারীরিক সুস্থতার মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।”

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এই মিনিস্টার জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ বন্দি বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেবে। মেডিকেল পরীক্ষা শেষে শুক্রবার থেকে তাদের মুক্তি পাওয়ার কথা। মুক্তি পাওয়ার পর এই বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তাদের স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

শামসুল আলম চৌধুরী বলেন, “বন্দি বাংলাদেশিদের এক মাসের মধ্যে দেশে ফিরে যাওয়ার শর্তে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাবেন।”

প্রসঙ্গত, ওই বাংলাদেশি বন্দিদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তারা একেকজন প্রায় ২৫ লাখ টাকা দালালকে দিয়ে বিভিন্ন দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।