Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদি তরুণীদের আদর্শ মরিয়ম আল-সুবাই

moryamমরিয়ম আল-সুবাই। তাকে এখন আদর্শ মনে করছেন সৌদি আরবের তরুণীরা। কারণ তিনি নিজের চেষ্টায় একটি মোবাইল ও কম্পিউটার ওয়ার্কশপ খুলেছেন এবং তা শুধু মাত্র মেয়েদের-ই জন্য।

আজকের এই অবস্থানে আসতে মরিয়মকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। শুনুন এই তরুণ উদ্যোক্তার সাফল্যের সেই গল্পটা।

chardike-ad

চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন মরিয়ম। কিন্তু তার ইচ্ছে ছিল টেকনিক্যাল সাইডে কাজ করা। তাই পড়াশোনা শেষ করেই সেই পথে হাঁটতে থাকেন।

প্রথম তিনি রাজধানী রিয়াদের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইল রক্ষণাবেক্ষণ ও কম্পিউটারের প্রায়োগ-সহ একটি স্কিল-বেসড প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে শুরু করেন কঠোর পরিশ্রম।

২০১৪ সালের কথা। স্বল্প বিনিয়োগে তিনি একটি মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান দেন। তিনি নষ্ট মোবাইল ফোন মেরামত করা শুরু করেন। তবে শুধু মেয়েদের মোবাইল-ই ঠিক করতেন তিনি।

এই তরুণ উদ্যোক্তা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে সেই সময়কার কথা বলতে গিয়ে জানান, গত বছর তিনি প্রায় ৪৮ হাজার মোবাইল ঠিক করেছেন। এ ফোনগুলো সব নারীদেরই। কারণ মেয়েরা এই জিনিসটি নিয়ে অনেক প্রতারিত হয়। তাই আমি তাদের সাহায্য করতে চেয়েছি।

সৌদি নারীদের অনুপ্রেরণা তিনি হলেও তার অনুপ্রেরণা কিন্তু জার্মান ইঞ্জিনিয়ার কোনরার্ড জুসি। এই ইঞ্জিনিয়ার জেড-২, জেড-৩ ও জেড-৪ কম্পিউটার তৈরি করেছেন।

নিজের এই কৃতিত্বের জন্য পরিবারকে ধন্যবাদ দেন মরিয়ম। ‘কারণ তাদের সহায়তা না পেলে একা এই পর্যায়ে আসা সম্ভব হতো না’, বলেন তিনি।

তার স্বপ্ন পূরণ হলেও প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান। চান আরো নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে তার মতো নিজের পায়ে দাঁড়াক।

মরিয়মের দোকানের এক ক্রেতা আরব নিউজকে জানান, তিনি টেকনিক্যাল দিকগুলো খুব ভালো বুঝেন। শুধু তা-ই নয়, অনেক মেয়েকে তিনি স্মার্টফোন, কম্পিউটার-সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস মেরামত করার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, মরিয়মের দোকানে দিনে কম হলেও ৯০ থেকে ১২০টি মোবাইল মেরামতের জন্য আসে। অসংখ্য কম্পিউটার আর ল্যাপটপ তো আছেই।

মরিয়মকে দেখে অনুপ্রেরিত হয়েছেন আয়শা আলী আহমেদ নামে এক নারী। জানান, তার সাফল্যের গল্প আমার মন ছুঁয়েছে, অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।