বিশ্বের প্রথম টেস্টটিউব কুকুরছানার জন্ম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। এর মাধ্যমে বিপুল্পপ্রায় কুকুরপ্রজাতি সংরক্ষণ, এদের সংক্রামক রোগ নিরাময়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন, টেস্টটিউবে কুকুরছানা জন্মানোর সফলতায় মধ্যে দিয়ে জিন-সম্পাদনা প্রযুক্তির সাহায্যে কুকুরের বংশানুক্রমিক রোগ নিরাময় করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে এই প্রযুক্তি মানুষের বেলায় কাজে লাগানো যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানী।
কুকুরের প্রায় ৩৫০ ধরনের বংশানুক্রমিক রোগ মানুষের বংশানুক্রমিক রোগের মতোই, যা অন্য যেকোনো প্রজাতির চেয়ে দ্বিগুন।
১৯টি ভ্রুণ মাদি কুকুরের দেহে দেওয়া হয় এবং তা থেকে সাতটি কুকুরছানার জন্ম হয়েছে। টেস্টটিউব কুকুরছানা জন্মানোর গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যালেক্স ট্রাভিস ও তার সহকর্মীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক অ্যালেক্স ট্রাভিস বলেছেন, ‘১৯৭০-এর দশক থেকে মানুষ চেষ্টা করে যাচ্ছে টেস্টটিউবে কুকুরছানা জন্মানোর। কিন্তু এবারই প্রথম সফলতা পাওয়া গেল।’
ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেনশ (আইভিএফ) পদ্ধতিতে টেস্টটিউব কুকুরছানা জন্মানোর প্রথম ধাপে বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটরিতে টিউবে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষেক ঘটিয়ে ভ্রুণ তৈরি করে। এরপর এই ভ্রুণ নির্দিষ্ট প্রজননকালে একটি মাদি কুকুরের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল, যা এতদিন পরে আয়ত্ত করতে পারলেন বিজ্ঞানীরা।
টেস্টটিউবে কুকুরছানা জন্মানোর সফলতাবিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স ওয়ান জার্নালে।
তথ্যসূত্র : দ্য হিন্দু