Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ান মুভি বান্ধবিঃ বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতিচ্ছবি

এলান খান চৌধুরি , সিউলঃ 
“বান্ধবী”
আমি প্রথমে মনে করেছিলাম”দি জাপানিজ ওয়াইফ ” এর মত কোন ভারতীয় বাংলা মুভি।
না এটি একটি পিউর কোরিয়ান ছবি।
যার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবন।
এটা একটা দুঃখের ছবি নয়।রোমান্টিক মুভিও বলা যায় না।তবে কিছু একটা।অন্য রকম।অন্য কিছু।
বাংলাদেশি প্রবাসী এক শ্রমিক করিম।তিন বছরের ওয়ার্ক ভিসায় সে কোরিয়া।ভিসার মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র মাসখানেক বাকি।কিন্তু তার এমপ্লোয়ারের কাছ থেকে সে পুরো একবছরের বেতন পাওনা।ইকোনোমি ডিপ্রেশনের কারনে এমপ্লোয়ার তার বেতন শোধ করতে পারছেনা।
এদিকে টাকা না পাঠাতে না পারলে দেশে তার বৌ তাকে ছেড়ে চলে যাবে।
এমন সময়ে তার পরিচয় কোরিয়ান এক স্কুল গার্লের সাথে।নাম মিন সুয়ে
যে ভুগছে চরম ডিপ্রেসনে।
এই পরিচয়ের কাহিনী গতানুগতিক কোন ধারায় পরেনা।নতুন আইডিয়া।
অনেক ঘটনা লেখা সম্ভব না।
তবে তিনবছরের মেয়াদ শেষে করিম দেশে ফিরে আসেনা।তার বৌ তাকে ছেড়ে যায়।
একসময় অবৈধ অভিবাসনের দায়ে ধরা পরে পুলিশের হাতে।
তাকে বাচাতে এগিয়ে আসে মিন সুয়ে।
ছবিটিতে বাংলাদেশ এবং এখানকার মানুষদের কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভদ্র শান্ত সহজ সরল ও দায়িত্বশীল হিসেবে।দেখানো হয়েছে যে বাংলাদেশি শ্রমিক দিয়ে সস্তায় কাজ করিয়ে কোরিয়ান কারখানা গুলো ভাল আয় করছে কিন্তু তারা ঠিকমত বেতন দিচ্ছে না।
এই পয়েন্টে হলিঊডের সাথে কোরিয়ান মুভির দ্বন্দ।হলিউডের মুভি মানেই আমেরিকা নামের এক দেশের শ্রেষ্ঠত্ব আর বাকি সবার নিন্দা।
তাই হার্ট লকারের মত মুভি এত গুলো অস্কার পায়।
নিজেদের দোষ নিজেরা এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারা অনেক বড়ত্বের পরিচায়ক।
নানা সময়ে দেখানো হয়েছে বাংলা সংস্কৃতি।
বাংলা গান আছে একটা।
আমাদের খাদ্যাভ্যাস।
আমাদের মানসিকতা।
ভেসে উঠেছে বাংলাদেশের প্রতি মমত্ববোধ।
মুভিটা যদি বাংলাদেশের কেউ বানাতো তাইলেই বেশি মানাতো।এখানেই এই মুভির স্বার্থকতা।
দেখে ফেলুন বাংলা নামের কোরিয়ান ছবি।
মুভিটাতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি মাহাবুবুর রাহমান পললব।