জানলার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছে এক যুবকের নিথর দেহ। পরনে ছিল নারীদের পোশাক। শাড়ি-ব্লাউজ, অন্তর্বাস, দু’হাতে শাঁখা-পলা, চুড়ি, পায়ে নূপুর, সিঁথিতে সিঁদুর, নাকে নথও ছিল তার।
তবে নারীদের পোশাক পরে আত্মহত্যা কেন এই যুবকের? তাহলে কি তার পুরুষ শরীরে ছিল নারীসত্তা? লোকলজ্জার ভয়ে গুমরে মরতে মরতে কি শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যাই শ্রেয় মনে হলো তার? না কি অন্যকোনো নাটক! বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের ড. মেঘনাদ সাহা কলেজের কেরানি অমিত অধিকারী (৩৫)।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইটাহারের স্কুলপাড়ায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মৃতদেহ প্রথম দেখতে পান স্ত্রী। পা দুটো মেঝেতে সামনের দিকে ছড়ানো ছিল। পরনে ছিল নারীর পোশাক।
স্ত্রী সুমিতা দেবী জানিয়েছেন, বাড়িতে মাঝেমাঝেই নারীদের পোশাক পরতেন তার স্বামী। জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, মেয়েদের পোশাক পরতে আর সেজেগুজে থাকতে তার খুবই ভালো লাগে।
এদিকে অপমৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। শুক্রবার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।