Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রাকৃতিক উপায়ে ঠাণ্ডা মোকাবেলা করুন

Woman using tissue

জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি হলো তো অমনি ওষুধ খাও! ওটাই একমাত্র সমাধান। তাই হয়তো নাক-চোখ বুজে প্রতিদিন নিয়ম করে একগাদা ওষুধ গেলো। কিন্তু তাতে রোগ বিদায় হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু রেখে যাচ্ছে তার ক্ষতিকর কিছু প্রভাব: বিদায় নেয়ার আগে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। তাই সাধারণ ঠাণ্ডা, কাশি, জ্বর সারাতে ভালো হয় যদি প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা হয়।

chardike-ad

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলোবালির প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। ফলে সর্দি, হাঁচি, কাশি কিংবা যেকোনো ধরনের ফ্লু খুব দ্রুত ছড়ায়। আবহাওয়ার ঠাণ্ডা ভাব আর ধুলোবালি অসুস্থতাকে বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট সক্ষম। ঠাণ্ডা লেগে থাকলে রন্ধন কৌশলে পরিবর্তন আনুন কিছুটা। সাধারণ সয়াবিন তেলের পরিবর্তে  ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে, সয়াবিনের তুলনায় ভেজিটেবল অয়েলের ঔষুধি গুণ বেশি। সবচেয়ে ভালো হয়— অরিগানো তেল ব্যবহার করতে পারলে। পাতা আর ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি এ তেল এখন বেশির ভাগ সুপার শপেই পাওযা যায়। ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি কিংবা যেকোনো ধরনের ফ্লুতে এ তেল ভালো প্রতিষেধক হতে পারে। আবার সরিষার তেলেও রান্না করতে পারেন শীতের এ সময়ে। সরিষার তেল খেলে শরীরের ভেতর থেকে তাপ উত্পন্ন হয়। ফলে শরীর গরম থাকবে আর ঠাণ্ডা আবহাওয়াকে সদর্পে বিদায় বলতে পারবেন। ওমেগা-৩ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে কেউ চাইলে জলপাই তেল খেতে পারেন। যেহেতু জলপাই তেলে যথেষ্ট পরিমাণ ওমেগা-৩ রয়েছে। তাই এটি ঠাণ্ডাজনিত রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে নিশ্চিত।

সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র— তাজা খাবার খেতে হবে। হিমশীতল এ আবহাওয়ায় তাজা শাকসবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। সবজি, ফল যা-ই হোক না কেন, সালাদ খাওয়ার সময় মনে করে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল, সরিষার তেল, অরিগানো কিংবা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে সালাদটি যেমন মুখরোচক হবে, তেমনি ঠাণ্ডাজনিত রোগের বিরুদ্ধেও লড়াই করবে।

আপনি হয়তো নিয়মিত চা পান করেন। শীতের এ সময়ে চা পান করুন, তবে খানিকটা ভিন্ন উপায়ে। এতে চা পানের তৃষ্ণাও মিটবে আবার ঠাণ্ডাকেও প্রতিহত করবে। লেবুর রস, আদা ছেঁচে তার রস, পুদিনা পাতা কুচি করে লিকারসহ চায়ে মিশিয়ে নিন। এবার তাতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে পান করুন। দেখুন ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি কোথায় গায়েব হয়ে গেছে! আবার কেউ চাইলে এর সঙ্গে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনিও মেশাতে পারেন। এত দিন ধরে একটা ধারণা প্রচলিত ছিল যে, মসলা মেশানো চা মানেই কেবল লিকার টি হবে। এবার সে ধারণা বদলে ফেলতে পারেন। কেননা দুধচায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন স্বাদবর্ধক মসলা। এতে স্বাদে ভিন্নতা আসবে আবার ওষুধের কাজও করবে।

মিউকাসের আক্রমণে মূলত গলাব্যথা, গলা খুসখুসে ভাবের সূচনা হয়। ভিটামিন এ মিউকাসের আক্রমণকে দমিয়ে ফেলতে সক্ষম। তাই এ শীতে ভিটামিন এ, ই কিংবা ডি-সমৃদ্ধ ক্যাপসুলের পরিবর্তে খাবারের তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন।

ঠাণ্ডাজনিত যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলে গরম খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। চেষ্টা করুন কুসুম গরম পানি পান করতে। এছাড়া গরম স্যুপ, হট ড্রিংকস বেশ কাজে  দেবে। যতটা সম্ভব ওষুধ এড়িয়ে হাতের নাগালে থাকা উপাদানে রোগ প্রতিহত করুন।